৬৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সম্পূর্ণ বন্ধ হতে পারে, ২৩ লক্ষের বেশি আসন কমেছে গত ১০ বছরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এল করোনা আবহে। ৬৩ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশজুড়ে।ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসনে বড়সড় পতন ঘটল গত ১০ বছরে। ২০১৫ থেকে ১৬ র মধ্যে প্রচুর আসন কমেছিল সঠিক পরিকাঠামো এবং পড়াশোনার অত্যন্ত খরচের জন্য। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, গত ১০ বছরে ২৩ লক্ষের বেশি আসন কমেছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডিপ্লোমা ডিগ্রির কোর্সের ক্ষেত্রে।
পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০১৫ সালে ৩২ লক্ষ আসন পূরণ হত এআইসিটিই অনুমোদনপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। কিন্তু বিরাট এক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ২০১৯ সাল থেকেই। তা কমতে থাকে ২০১৯ সাল থেকেই। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের একাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৫০ শতাংশ আসন পূরণ হয়নি ২০১৮ সালে। তারপর থেকে সংখ্যাটা আরও কমতে দেখা যায়।
পরিসংখ্যান পাওয়ার পর এআইসিটিই-এর চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধের বক্তব্য, ‘করোনা আবহ এর জন্য অনেকাংশে দায়ী। তাছাড়াও যে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরির জন্য, তাতে এখনও মেলেনি সরকারের অনুমতি।’ তিনি এও জানান , ‘২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, দেশে মোট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে ৬২১৪টি। কিন্তু প্রতি বছর ১৫ লক্ষ পড়ুয়া স্নাতক ডিগ্রি পেলেও, চাকরি পাচ্ছেন মাত্র ২০ শতাংশ। এমনকি যে পরিমাণ অর্থ পরিবারের তরফে বেসরকারি কলেজের জন্য ব্যয় করছেন, সেই অনুযায়ী অনেকেই পাচ্ছেন না সঠিক বেতনের চাকরি। অন্যদিকে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতেও। চাকরি পেতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না প্রথম এবং দ্বিতীয় সারির সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক হওয়া ইঞ্জিনিয়ারদের ক্ষেত্রে। কিন্তু একমাত্র এই সমস্যায় ভুগতে হয় বেসরকারি কলেজের পড়ুয়াদেরকেই।