আপনি কী সুবিধা পেতে চলেছেন দেশে ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি’ এলে ? জানুন এক ঝলকে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়ে উঠেছে #IndiaWantsCrypto, তেমনই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির রমরমা সারা বিশ্ব জুড়ে। কতটা লাভ হতে পারে দেশে এই ডিজিটাল কারেন্সি এলে, তা নিয়ে একগুচ্ছ ট্যুইট করেছেন WazirX-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা নিশ্চল শেট্টি। দেখে নেওয়া যাক তাঁর মতানুসারে দেশে কেন আসা দরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি, এলে ঠিক আমরা কী সুবিধা পেতে চলেছি!
ডিজিটাল কারেন্সির সুবিধা কোথায়, সেটা বোঝাতে গিয়ে শেট্টি Bitcoin-এর কথাও তুলে ধরেছেন। এও বলছেন যে অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয় কয়েক সেন্ট থেকে ৩৭,৬০০ ডলারে এর মূল্য পৌঁছে যাওয়া। কেন না, ডিজিটাল কারেন্সি সব চেয়ে সুলভ সম্পদ, ব্যবহারের জন্য মোবাইল আর ইন্টারনেট হলেই চলে! পাশাপাশি, কোনও ভৌগোলিক সীমা না থাকায়, কোনও ব্যক্তি বা দেশ দ্বারা পরিচালিত না হওয়ায় এটা জনতাকে সরাসরি সুবিধা দেয়।
এই প্রসঙ্গে শেট্টি আরও জানিয়েছেন যে Bitcoin-এর মূল্য আজ এতটা বেড়ে গিয়েছে ইন্টারনেট ইউজারদের মাত্র ৩ শতাংশের দৌলতে। অতএব, সংখ্যাটা যদি বাড়ে, তাহলে ডিজিটাল কারেন্সি নিয়ে তাঁর মতে ইতিবাচকতার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। অবশ্য, শুধুই বৃদ্ধি নয়, একই সঙ্গে অতীতে Bitcoin-এর দাম পড়তেও দেখা গিয়েছে। শেট্টি বলছেন যে ডিজিটাল কারেন্সির আর্থিক বৃদ্ধি মূলত নির্ভর করে চারটি বিষয়ের উপরে- ইউজারের সংখ্যা, প্রোজেক্টের সংখ্যা, মূলধন বিনিয়োগ এবং বিনিয়োগকারীর ইতিাচক মনোভাব। এই সবক’টি বিষয়ই উত্তরোত্তর বাড়ছে বলেও তিনি দাবি রেছেন।
নন-ফানজিবল টোকেনের ব্যাপ্তি নিয়ে শেট্টি এই কারণেই আশাবাদী। তিনি এও জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে না হলেও এক সময়ে এটি থাকবে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে, ক্রমশ সেই দিকেই যাচ্ছে পরিস্থিতি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই আলোচনায় উঠে এসেছে CBDC বা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সির কথা। শেট্টি সমর্থন করেছেন ডিজিটাল কারেন্সির এই কেন্দ্রীকরণকে। বলেছেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (RBI) অবশ্যই এগোনো উচিত এই প্রকল্প নিয়ে। কেন না, বিষয়টিতে সরকারের হস্তক্ষেপ থাকলে জনতার মনোবল বাড়বে তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে।