BJP MP সৌমিত্র খাঁ ফিরছেন তৃণমূলে ? চরম অনাস্থা শুভেন্দুর নেতৃত্বে, দিল্লিতে বৈঠক অভিষেকের সঙ্গে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মূলত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে যে শুভেন্দুর জন্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন বাংলায় বিজেপির সবচেয়ে বড় নেতা।এমনকি কানা ঘুষো খবর সত্যি হলে বাংলায় আগামী দিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদেও বসতে চলেছেন হয়তো শুভেন্দু অধিকারী।
এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বাংলায় বিজেপিতে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তৃণমূল থেকে যাওয়া বিজেপি নেতারা। যার মধ্যে অবশ্যই প্রথম সারিতে রয়েছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র। তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ে? সংসদের বাদল অধিবেশনের ঘটনাক্রমে সেই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লিতে বিজেপির অন্দরে।
সম্প্রতি একাধিকবার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় মশগুল হতে দেখা গিয়েছে সৌমিত্র খাঁকে, এমনকী কাকতালীয়ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর। সূত্রের খবর, সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে সেন্ট্রাল হলে অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সুকান্ত মজুমদারের। দুজনে কুশল বিনিময় করেন।এর পর সৌমিত্র অভিষেককে বলেন, দলকে খুব ভালো নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
গত ১৫ জুলাই আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ।তার পর অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাতেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হওয়ায় ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এখানেই শেষ নয়, বুধবার লোকসভায় তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও অপরূপা পোদ্দারের সঙ্গে খোশগল্প করতে দেখা যায় সৌমিত্র খাঁকে। তিনি গল্পে এতই মগ্ন ছিলেন যে লকেট চট্টোপাধ্যায় বারবার ডাকলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে ট্রেজারি বেঞ্চে ফিরে এসে লকেটকে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের একটা গল্প সুদীপদাকে বলছিলাম।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন সৌমিত্র খাঁর তৎকালীন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। যদিও তৃণমূলে যোগদান করায় তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন সৌমিত্র। ওদিকে সৌমিত্রও তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে নানা মহলে জল্পনা ছড়ায়।
তবে তৃণমূলকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে সেই আলোচনা চাপা দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।