অনাবৃষ্টি-জলসঙ্কটের দৌলতে খরার আশঙ্কা তৈরি হতে চলেছে বাংলাতেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হাহাকার করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। বাংলার অবস্থা যে ক্রমাগত খরার পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে । একদিকে জলের অভাবে ক্রমাগত ভুগছে দেশের বিভিন্ন বড় জল সংরক্ষণকারী বাঁধগুলিও ।পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও একইরকম। আগামী সপ্তাহ দুয়েক একইরকমভাবে বৃষ্টির ঘাটতি থেকে এ রাজ্যেও খরার যথেষ্ট প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে জলদম্পদ উন্নয়ন দফতর থেকে।
ঘটনা হল পর্যাপ্ত পরিমানে বৃষ্টি না হলে জল ধরা যাচ্ছে না ফলে জল ভরার সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে অনেকাংশে। যা খারিফ শস্য, এবং বোরো ধানের চাষের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক । রাজ্যের বাঁধগুলিতে বিগত তিন সপ্তাহে জল ছাড়ার পরিমাণ দেখলেই একটা সহজ ধারনা তৈরি হতে পারে।গত এক মাসের মধ্যে একমাত্র ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে সাত আট দফায়ে। তারপর থেকে বৃষ্টিও নেই জল ও ছাড়া হয়নি ফলে শস্যের উপর যে খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে তা পরিস্কার। এদিকে কম বৃষ্টির সঙ্গে প্রকট হচ্ছে তীব্র জলসংকটও । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জল ধরো, জল ভরো প্রকল্পটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন সোমবারেই। তাঁর বার্তায় স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে তীব্র জলসংকট এর সমস্যা।
এসএসকেএম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে জল বাঁচাও দিবস পালিত হবে প্রতি বছরই।এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই দিনটি পালনের জন্য মিছিলে তিনি নিজেই হাঁটবেন তার অনুগামীদের সঙ্গে। আগামী ১২ জুলাই রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান ঠাকুরবাড়ি থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হবে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে।