অবশেষে দিন পনেরোর লড়াই শেষ মইনুলের, আরও এক জনের মৃত্যু হল গার্ডেনরিচের মর্মান্তিক ঘটনায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বাড়ি ভেঙে আহত হয়েছিলেন। সপ্তাহ দুয়েকের টানা লড়াই। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়েছে। ধীরে ধীরে তাঁর অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বাঁচানো যায়নি বছর তেইশের যুবক মইনুল হককে। ঘটনার পর তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ জন।
উল্লেখ্য গত ১৭ মার্চ গার্ডেনরিচের ফতেপুর এলাকায় একটি নির্মীয়মান বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বাড়িটির বেশিরভাগ ধ্বংসস্তূপ গিয়ে পড়ে পাশের বস্তিতে। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা এলাকা। অবৈধ নির্মাণের বিস্তর অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, দোতলা বাড়ির ভিতর ওপরেই তৈরি হচ্ছিল পাঁচ তলা বিল্ডিং। আর তাতেই গন্ডগোল। এলাকার কাউন্সিলর থেকে মেয়র সকলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গার্ডেনরিচে আরও একাধিক অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে প্রথম দিন ওই এলাকা থেকে ২ টি দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে সংখ্যাটা। প্রথম দুদিনের মধ্যে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অনেকে। তাঁদের অনেকেই মৃত্যু হয় পরে। এতদিন হাসপাতালেই লড়াই চালাচ্ছিলেন বছর তেইশের মইনুল। অবশেষে মঙ্গলবার শেষ হল তাঁর বেঁচে থাকার সব রকম লড়াই।