অবশেষে বদলে যাচ্ছে মোটর ভেহিকেল আইনের নিয়ম কানুন, উপায় নেই এমনকি ভুল করলে ছাড় পাওয়ারও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আজ থেকে অবশেষে বদলে যাচ্ছে মোটর ভেহিকেল আইনের নিয়ম কানুন। আগে অনেক রকম কাগজপত্রই সঙ্গে রাখতে হত গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই। কিন্তু আর তা লাগবে না এখন থেকে। কারণ, ট্রাফিক পুলিশের থেকে হেনস্থা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকেল আইনের সংশোধন করেছে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রক। সেই সংশোধিত আইন মোতাবেক তা কিছু নতুন নিয়মকানুন চালু হচ্ছে আজ থেকেই।
পরিবর্তিত নিয়ম কানুন গুলি হলো যথাক্রমে
১) গাড়ির কাগজপত্রের কোনও ফিজিকাল ভেরিফিকেশন লাগবে না : গাড়ির সমস্ত রকমের কাগজপত্র যদি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে থাকে এবং তা যদি যথাযথ হয়, তা হলে সে ক্ষেত্রে লাগবে না কোনও রকমের হার্ড কপি তথা ফিজিকাল ডকুমেন্ট (কাগজপত্র)। কোনও গাড়ির বিরুদ্ধে এমনকি কোনও রকমের কেস হলে, তা যদি কোথাও দেখানোর প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রেও ইলেকট্রনিক ফরম্যাটেই দেখানো যেতে পারে। ই-চালানও পাওয়া যাবে সরকারি ওয়েবসাইট বা পোর্টালে।
২) ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করে দিতে হলে যা যা করণীয় : যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে যাতে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করতে হবে, তা হলে কর্তৃপক্ষকে ওই ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করার আবেদন ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিলেই হবে।সেই তথ্য আপডেট হয়ে যাবে ওয়েবসাইটে।
৩) ভুল করলে ছাড় পাওয়ার উপায় নেই : কোনও চালক ট্রাফিক আইনভঙ্গ করলে সে ব্যাপারে তথ্য নথিভুক্ত হয়ে যাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায়। কর্তৃপক্ষ চাইলে বিশ্লেষণ করে দেখতে পারবে কোনও চালকের ধারাবাহিক আচরণও। শুধু মাত্র চালকের নথিই নথিভুক্ত হবে না, যে ট্রাফিক পুলিশ চালককে আইন ভঙ্গের জন্য ধরেছেন পোর্টালে আপডেট হয়ে যাবে তাঁর নাম ও পরিচয়ও। কিন্তু কেন এই নিয়ম করা হচ্ছে? তার কারণ হিসেবে এও জানা গেছে , সব কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকা সত্ত্বেও চালককে হেনস্থা করা হয় অনেক সময়েই। এ বার কেউ যাতে চালককে জোর করে কোনো রকম কেস দিতে না পারে এই ব্যবস্থা তা নিশ্চিত করতেই। যাতে পরে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকে সেই কেসকে।
৪) গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র কী ভাবে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় সেভ করবেন : গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র তথা নথি সেভ করে রাখতে পারবেন কেন্দ্রীয় সরকারের অনলাইন পোর্টাল ডিজি-লকার বা এম-পরিবহণে (m-parivahan)। তার ফলে সঙ্গে রাখার কোনও রকম দরকার পড়বে না ফিজিকাল ডকুমেন্ট এর।
৫) সতর্ক থাকুন এমনকি ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও : গাড়ি চালানোর সময় এক মাত্র ফোন ব্যবহার করতে পারবেন রুট নেভিগেশনের জন্যই। কিন্তু গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলা বা হাতে ধরা কোনও কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহার করলে জরিমানা দিতে হবে ট্রাফিক আইন অনুযায়ী।