আবিষ্কর্তার চরম আফসোস ফোন আবিষ্কার করে , ক্রমশ ধ্বংসের মুখে পড়ছে নতুন প্রজন্ম!
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বর্তমানে ফোন ছাড়া একটা দিন তো দূর, কয়েক ঘণ্টা অনেকেই কাটাতে পারেন না। সকালে ঘুম ভাঙা থেকে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত ফোন এখন নিত্য সঙ্গী। অফিসের কাছ থেকে শুরু করে পড়াশোনার কাজ, সবকিছুর জরুরী প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন । একবার ভেবে দেখুন তো, যদি ফোন না থাকতো তাহলে কি হত? ফোন ছাড়া বহু মানুষের জীবনে একেবারেই অচল। আবার অনেকেই আছেন যারা ফোনের প্রতি নেশাগ্রস্ত। কোনো কারণ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে রয়েছেন মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে। কেউবা মোবাইল দেখতে দেখতে রাস্তা পার হতে গিয়ে অজান্তেই ডেকে এনেছে মারাত্মক বিপদ। এমত পরিস্থিতিতে কেমন হবে ফোনের আবিষ্কর্তার মনের অবস্থা? ৯৪ বছর বয়সী কুপার জানান, যখন তিনি দেখতে পান কেউ মোবাইল দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন তখন তাঁর মন ভেঙে যায়। কিছু মানুষ মারা না গেলে কারো বোধ জাগবে না।
প্রায় ৫০ বছর আগে ফোন আবিষ্কার করে মার্কিন মুলুকের মার্টিন কুপার গোটা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেই যন্ত্রের সৃষ্টিকর্তাই এখন একটু হলেও আফসোস করছেন। তিনি ভাবছেন, এখন লোকজন সারাদিন ফোনের দিকেই তাকিয়ে থাকে। তিনি যন্ত্রটি আবিষ্কার করার সময় ভাবতেই পারেননি যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে । মোবাইলের প্রতি দিনের পর দিন মানুষের মোহ মায়া বেড়েই চলেছে। এই ছোট্ট যন্ত্র যেমন সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে, তেমনি মানুষের মস্তিষ্ককেও কব্জা করে নিচ্ছে । ক্যালিফোর্নিয়ার ডেল মারেতে নিজের দফতরে বসে একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যখনই দেখেন কেউ ফোন দেখতে দেখতে রাস্তা পার হচ্ছেন তখন তাঁর মন ভেঙে যায়। মানুষ বাস্তব জগতে তুলনায় ক্রমশ মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে ভার্চুয়াল জগতের প্রতি।
কুপার বেশ শৌখিন, সম্প্রতি তাঁর হাতে দেখা গিয়েছে আইফোনের নবমতম সংস্করণের একটি ঘড়ি। তিনি অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন, বর্তমানে প্রচুর অ্যাপ রয়েছে যার অধিকাংশের ব্যবহার তিনি জানেন না। তাঁর নাতি নাতনি কিংবা ছেলে মেয়েরা যেভাবে ফোন ব্যবহার করেন তিনি সেভাবে ফোন কখনোই ব্যবহার করতে পারবেন না। ফোনের প্রতি মানুষ যেভাবে মজে রয়েছে একটা সময় কিন্তু তাও থাকবে না। কারণ প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে। ৫০ বছর আগে তিনি যে যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছিলেন পরিবর্তনের হাওয়ায় সেই যন্ত্রটি একেবারকে নতুন রূপ নিয়েছে। বাজারে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বড় বড় কোম্পানিগুলিও।