আমার ছবিতে কালি ছেটালে, আলকাতরাও আছে আমার হাতে ‘, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হঠাৎ কেন এমন বললেন ? উঠছে প্রশ্ন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সোমবার এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসসি দুর্নীতিতে রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রথমবার সরব হলেন বঙ্গবিভূষণের মঞ্চ থেকে। তাঁর স্পষ্ট কথা, “সারাজীবন আমি রাজনীতি করিনি জীবন ভোগ করার জন্য। আমার ধারণা ছিল রাজনীতি মানে ত্যাগ। দেশসেবার জন্য সারাজীবন রাজনীতি করেছি। কিন্তু পার্থক্য থাকে রাজনীতিকদের মধ্যেও।
স্কুলে কি সব পড়ুয়া কি একরকম হয়? এক গাছে কি কলা আর আপেল হয়? আম আর আমড়া হয়? আমি অন্যায়কে সমর্থন করি না। আমার জীবনের নেশাও নয়, পেশাও নয় দুর্নীতিকে সমর্থন করাটা । আমি সংসদের পেনশন পাই ১ লাখ টাকা করে । ২ লাখ করে পাই এমএলএ বা চিফ মিনিস্টার হিসেবেও। অর্থাৎ মোট ৩ লাখ। কিন্তু একটা টাকাও নেইনি ১১ বছরে।” তিনি বলেন, “আজ আমি সত্যিই দুঃখিত, মর্মাহত। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের জন্য। সবাই সাধু আমি বলতে পারব না একথা। ভূত আছে সাধুর মধ্যেও। জ্ঞানত আমি কোনও অন্যায় করি না। আমি না জেনে কোনও অন্যায় করে থাকলে, সুযোগ চাইব ভুল সংশোধনের। চাইব ক্ষমাও ।
কিন্তু কোনও এক মহিলাঘটিত ব্যাপারে যেভাবে কালি ছেটানো হচ্ছে আমার ছবিতে, আলকাতরা আছে আমার হাতেও তারা যেন মনে রাখে। যে অন্যায় করেছে, তাঁকে হাজারবার বলুন। কিন্তু বিচারের আগেই কেন? বিচারের আগেই কেন কাঁটাছেড়া করা হচ্ছে ? আমি পুজোয় যাই। উদ্যোক্তারা যদি কাউকে ডেকে রাখে, সে যদি মঞ্চে থাকে, তাকে যদি আমি না চিনি, আমার তাহলে কী করার আছে? সে নাকি পার্থর বন্ধু? আমি কি ভগবান, যে জানব কে কার বন্ধু!”
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, “সত্যি প্রমাণিত হোক। আই ডোন্ট মাইন্ড কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও । যে মহিলার বাড়িতে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার কোনও সম্পর্ক নেই দলের সাথে। সরকারের সাথেও নেই।