এবার থেকে কলকাতা পুরনিগম নাগরিকদের থেকে পৃথকীকরণ বর্জ্য চাইবে গান বাজিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বছর তিন আগে থেকেই শুরু হয়ছে শহরে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ । ৮ লাখ বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে সবুজ নীল বালতি। তবে নাগরিক মনে প্রবেশ করেনি বর্জ্য পৃথকীকরণের সচেতনতা । এবার তাই অভিনব পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম । ব্যাটারিচালিত যে গাড়ি প্রতিদিন দুয়ারে আসে জঞ্জাল সংগ্রহ করতে, তাতেই লাগানো হবে মাইক । বাজবে গান । সেই গান অবশ্য চটুল বা জনপ্রিয় নয়, সেই গানের কলিতেই থাকবে উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণের বার্তা । এমনই পরিকল্পনা করেছে জঞ্জাল অপসারণ বিভাগ বলেই জানা যাচ্ছে কলকাতা পুরনিগমের তরফে ।

এদিকে পুরনিগম সূত্রে খবর, গান বাজার উদ্দেশ্য হল যাতে নাগরিকরা জঞ্জাল পৃথকীকরণ করেই দেন । বাঁশি বাজানো বদলে হবে এই গান । অবশ্য এই গান শহরজুড়ে সব অংশে শোনা যাবে এমন নয় । কারণ পুরনিগম পরিকল্পনা করেছে, এখনও পর্যন্ত যেসমস্ত এলাকার মানুষ এই বিষয় সচেতন হননি সেই সমস্ত এলাকায় প্রথমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে । সেখানে ব্যাটারিচালিত গাড়িতে মাইক লাগানো হবে তাতে গানের প্যারোডি বাজবে । সঙ্গে থাকবে সচেতনতার বার্তাও।
কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, “কেন দুটি রঙের বালতি দেওয়া হয়েছে, কোন বালতিতে কী ধরনের বর্জ্য পড়বে, সবটাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মীরা বুঝিয়ে এসেছে । এমনকি লিফলেট বিলি করা হয়েছে । নিয়মিত আমাদের পচনশীল জঞ্জাল তোলা ও সপ্তাহে তিন চার দিন অপচনশীল জঞ্জাল সংগ্রহ হয় । কিন্তু শহরের অনেক জায়গায় নাগরিকরা সচেতন না হওয়াতে এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়বে । তাতে শহরের সার্বিক ক্ষতি । সেটা আটকাতে নতুন পথে এগোনোর ভাবনা ।” তিনি আরো জানান জঞ্জালের পাহাড় জমেছে ধাপায় । উপচে পড়ছে আবর্জনা। দূষণ ঠেকাতে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের কাজ শুরু হয়েছে । আর তার জন্য অপরিহার্য হল উৎস থেকেই পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণ করা। পচনশীল বর্জ্য থেকে সার তৈরি হবে । অপনশীল বর্জ্য থেকে আরও নানা ধরনের উপাদান তৈরি হয় । ২০২২ সালেই ৮ লাখ বাড়িতে ১৬ লাখ বালতি দেওয়া হয়েছে পুরনিগমের তরফে ৷

