এবার সন্দীপ-অভিজিতেরও নাম আরজি কর কাণ্ডের চার্জশিটে! প্রমাণ লোপাটের ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রর অভিযোগ আনল সিবিআই

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযক্ত হিসাবে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কীভাবে এই অপরাধের সঙ্গে সঞ্জয় জড়িত সেই সংক্রান্ত ২২টি পয়েন্ট চার্জশিটে উল্লেখ করে শিয়ালদহ আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। ওই চার্জশিটে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ ও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তাঁরা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ধামাচাপা ও প্রমাণ লোপাটে এই ২জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অপরাধ সংগঠনে পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহত্তর কোনও ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা তাও তদন্ত করে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করে টালা থানার ২ পুলিশ। ধর্ষণ করে তাঁকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ও সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের কর্তারা প্রথম থেকে দাবি করতে থাকেন এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত আছেন। যদিও ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। সঞ্জয় রাইকে প্রথমে কলকতা পুলিশ গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হাতে নেওয়ার পর সঞ্জয়কে তাদের হেফাজতে নেয়।

উল্লেখ্য ,শিয়ালদহ আদালতে ৪৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। কীভাবে সঞ্জয় রাই চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সে ব্যাপারে ১১টি প্রমাণ খাঁড়া করেছে সিবিআই। সোয়াব টেস্ট থেকে ডিএনএ রিপোর্টে সঞ্জয়ের উপস্থিতির প্রমাণ আছে। মাথার চুল ও হেডফোন, সিসিটিভি ফুটেজ, সবেতেই সঞ্জয় রাই-ই যে মূল অপরাধী বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। প্রথম পয়েন্টে মৃত্যুর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পোস্ট মর্টেমের ১২ থেকে থেকে ১৮ ঘন্টা আগে মৃত্যু হয়েছিল অভয়ার। তাঁকে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। প্রতিরোধ করতে গিয়ে সঞ্জয় রাইয়ের শরীরে ৫টি জায়গায় আঘাত মিলেছে। এমন ১১টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *