ওরা ঘৃণার রাজনীতি করে, আমি ভালবাসার কথা বলি, এমনি মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : উত্তরবঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও রয়েছেন সেখানে। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি হয়ে সোমবার তিনি পৌঁছন উত্তর দিনাজপুরে। ন্যায় যাত্রায় উত্তরবঙ্গের জেলায়-জেলায় ঘুরছেন রাহুল গান্ধী। আজ সকাল-সকাল ইসলামপুরে বাসে করে পৌঁছন। তারপর সেখান থেকে বিহারের কিষাণগঞ্জ পৌঁছন সাংসদ
তিনি জানান ওবিসি বর্গের মানুষজন দেশে আছেন সবচেয়ে বেশি। পঞ্চাশ শতাংশ তাঁরা রয়েছেন। ১৫ শতাংশ দলিত আছেন, ১৫ শতাংশ সংখ্যালঘু আছে। বাজেটে কত টাকা বরাদ্দ হবে তা ঠিক করেন ৯০ জন আইএএস অফিসার। কত টাকা কৃষকরা পাবেন, স্বাস্থ্যখাতে কত বরাদ্দ হবে। সব সিদ্ধান্ত তাঁরা নেন। এদের ছাড়া বাজেট হয় না। বিহারের পিছিয়ে পড়া মানুষ শুনুন,ওই অফিসারদের মধ্যে মাত্র তিনজন পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। এটাই সত্যি। পিছিয়ে পড়াদের দাবি মান্যতা দিতে হবে।
তার কথায় এই যাত্রায় আমরা ন্য়ায় শব্দ জুড়ে দিয়েছি। এখন গরিব মানুষ আর্থিক বা সামাজিক কোনও ন্যায় পান না। মোদীর সরকার আরব পতিদের সব উজার করে দিচ্ছেন। মেহনতি শ্রমিক,মজুর তাদের সাহায্য করে না সরকার। আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ছাড়া সমাজ এগোবে না।
অনেকেই বলেছিলেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা করেছেন, অথচ দেশের যে রাজনৈতিক সেন্টার অসম, বিহার থেকে তো যাত্রা গেল না। একটা যাত্রা উত্তর-পূর্ব থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত হওয়া উচিত। মণিপুরে দেখেছি বিজেপির নীতি। মণিপুরকে দুটো ভাগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ভাইরা লড়ছে। দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রী মণিপুরে যাননি। অথচ ওই রাজ্য জ্বলছে। মানুষ মারা রাজনীতিতে যাত্রার প্রভাব পড়েছে।নতুন বিচারধারা শুরু হয়েছে। ঘৃণাকে কেবল মাত্র ভালবাসাই দূর করতে পারে। ওরা ঘৃণার কথা বলে, আমি ভালবাসার কথা বলি।