কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগে অবশেষে স্থগিতাদেশ জারি করলো কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের উপর ইতিমধ্যেই স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট । মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে বলে নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । আগামী ১৮ জুন বেলা দুটোর সময় ফের এই মামলার শুনানি হবে । আইনজীবী সূত্রের খবর, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাতে পারে রাজ্য ৷

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষায় প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীরা ৷ তাদের আরও অভিযোগ, মিথ্যে মামলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রাখা হয়েছে ৷ এদিকে মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও ৷ তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর অসাধু যোগের কারণে তাঁদের কোনো রকম চাকরি হচ্ছে না । বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, প্রত্যেকেই নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন । কিন্তু, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কারণে চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি ৷ এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে তুমুল বিক্ষোভে সামিল হন ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষা বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা । নিয়োগে যাতে স্থগিতাদেশ না-দেওয়া হয়, এই নিয়ে এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কাছে আবেদন জানান রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল ৷ কিন্তু, বিচারপতি বসু স্পষ্ট জানান, মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ করা যাবে না ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ১ হাজার ৬০০ টি সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করেছিল । সেখান থেকে ১ হাজার ২৪০ জনের একটি প্যানেলও তৈরি করা হয় । কিন্তু, হাইকোর্টে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা মামলা দায়ের করে জানান, রাজ্য আসলে দুর্নীতিগ্রস্তদের চাকরি পাইয়ে দিতে এই সুপার নিউমেরারি পদ তৈরি করেছে । বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন সময় নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন । যদিও মামলাকারীদের বক্তব্য, সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল শেষ হয়ে গিয়েছে । সেই কারণে, রাজ্য যাতে এই পদে নিয়োগ করতে না-পারে, তা নিশ্চিত করতে এবং নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন জানান তাঁরা । অবশেষে এদিন সেই আবেদনেই সম্মতি দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । আপাতত এই নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশও জারি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *