কিছু নথি জমা দিতে আগ্রহী ! ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হঠাৎ ‘সুপ্রিম’ কোর্টের শরণাপন্ন হল এসএসসি
বেস্ট কলকাতা নিউজ : যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথকীকরণ কি সম্ভব? সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই এর উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বললেও, সদুত্তর দিতে পারেনি এসএসসি (SSC)। মামলার শুনানি আগেই শেষ হয়েছে। অপেক্ষা শুধু রায় ঘোষণার। এরই মধ্যে নতুন করে নথি জমা দিতে চেয়ে মামলা করল এসএসসি। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। উল্লেখ্য, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই শুনানির সময় বুধবার এসএসসি কোর্টের কাছে আবেদন করে যে, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল এই মামলায় তারা নতুন করে কিছু নথি জমা দিতে চায়। প্রাথমিকভাবে এই আবেদনে প্রধান বিচারপতি উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, এই বিষয়ে দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। নথি জমা দেওয়ারও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার নতুন করে কেন তারা নথি জমা দেবেন?
![](https://banglarkhabor.in/wp-content/uploads/2025/01/332769987_1629612934167629_1872748458816515128_n-1024x723.jpg)
কিন্তু তার মধ্যেও আগামী সোমবারের মধ্যে যাবতীয় নথি জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শেষ শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে প্রায় ২ ঘণ্টা শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেছিলেন, “নায়সা আমাদের জানায় যে কোনও ডেটা নেই। তারপর আমরা ডেটা স্ক্যানটেক থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। এরপর আমরা পঙ্কজ বনশলের (নায়সার প্রাক্তন কর্তা) কাছ থেকে ডেটা সংগ্রহ করি। দুটো ডেটাকে মিলিয়ে দেখি।”
ডেটা স্ক্যানটেক (OMR উত্তরপত্র স্ক্যানিংয়ে এই সংস্থা যুক্ত ছিল) থেকে পাওয়া হার্ডডিস্ক ও পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ৩টি হার্ডডিস্কের হ্যাশ ভ্যালু মিলে গিয়েছে বলে সিবিআই আইনজীবী জানান। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও বলেন, “এসএসসির কাছে যে ডেটা ছিল, তাতে কারসাজি হয়েছিল। আমাদের তদন্তে স্পষ্ট, পঙ্কজ বনশলের কাছে যে ডেটা রয়েছে, তাতে কারসাজি হয়নি।” পঙ্কজ বনশলের কাছ থেকে পাওয়া ডেটার ভিত্তিতে যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ সম্ভব বলে সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল করেন। শুনানিতে এসএসসি-র আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত জানালেন, যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ করে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে তিনি জানান, ব়্যাঙ্ক জাম্পিং ও আউট অব প্যানেল নিয়ে তাঁদের কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু, OMR মিসম্যাচ নিয়ে কোনও তথ্য নেই। এরপর আবার কী নথি জমা দেবে এসএসসি? সেই সদুত্তর মেলেনি।