কেন ক্রাউন্ডফান্ডিং ইনভেস্টর থাকতেও ! বাইচুং বিষ্ফোরক ইস্টবেঙ্গলের সিদ্ধান্ত নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল। দল গঠনের জন্য যা প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইনভেস্টর সংস্থা ইমামি গতবারের তুলনায় বাজেট বাড়ালেও অন্য দলের ফুটবলারদের ট্রান্সফার ফি দিতে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন লাল-হলুদ কর্তারা। এমন আর্থিক সমস্যার মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কর্মসমিতির সদস্য নিতু সরকার ক্রাউডফান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক বছরের মধ্যে রীতিমত অঙ্ক কষে ৬ কোটি টাকা তোলার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।
বিদেশের বহু ক্লাবে ক্রাউডফান্ডিংয়ের নিদর্শন রয়েছে। তবে ভারতীয় ফুটবলে নতুন পথের সন্ধান দিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের তহবিল সংগ্রহ। দিন দুয়েক আগে বাংলার প্রচারিত এক দৈনিকেও রীতিমত বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ সংগ্রহের আবেদন রাখা হয়েছে ক্লাবের তরফে। যেখানে ইউপিআই আইডি, এমনকি কিউআর কোডও রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের এই আর্থিক কর্মকান্ডে মোটেই সন্তুষ্ট নন পাহাড়ি বিছে বাইচুং ভুটিয়া। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বি অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করা সুপারস্টার জানিয়েছেন, “ক্লাবের অবশ্যই অর্থের প্রয়োজন। তবে এরকম উদ্যোগ রীতিমত বিভ্রান্তিকর। ইস্টবেঙ্গলের এই মুহূর্তে ইনভেস্টর রয়েছে। তারপরেও ক্রাউডফান্ডিংয়ের কী প্রয়োজন, তা আমার বোধগম্য নয়।”
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে টানা ১০ বছর খেলা মেহতাব অবশ্য ক্লাবের উদ্যোগের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন। লাল-হলুদের মহাতারা জানান “কঠিন সময়ে কঠিন পদক্ষেপ নিতে হয়। ক্লাবের এই মুহূর্তে লক্ষ্য এই পরিস্থিতি সামলানো। একজন প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে সবসময় ক্লাবের পাশে থাকব। নিজের সাধ্যমত সাহায্য করব।” তার মতে “সাহায্যের প্রতিটা বিন্দুই ক্লাবের প্রয়োজনে আসবে। তাই, যাঁর যেটুকু সামর্থ্য সেই অনুযায়ী ক্লাবকে সমর্থন করুন। একসঙ্গে আমরা এই আইকনিক ক্লাবকে বাঁচাতে পারব। যাতে আগামী দিনেও বজায় থাকে এই ঐতিহ্য।”
এদিকে নিজেদের কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতে দেবব্রত সরকার জানান “আমরা ভিক্ষা করতে করতে এদেশে এসেছিলাম। আরও একবার সমর্থকদের কাছে হাত পাতছি আমাদের সাহায্য করার জন্য, ভালবাসা প্রদর্শনের জন্য। যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হবে তা ক্লাবের পরিকাঠামো, তৃণমূল স্তরে উন্নয়নের খাতে খরচ করা হবে। এর পরেও যদি উদ্বৃত্ত অর্থ থাকে, তাহলে তা ফুটবলার কিনতে ব্যয় করা হবে। এতে ক্লাবের পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে।”