কেবলমাত্র মশা-ই মারতে পারে মশাকে, নতুন এক তথ্য উঠে এলো বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের গবেষণায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কথায় বলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা । এই প্রবাদই সত্যি হয়ে উঠছে মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে । কারণ, মশা মারতে ব্যবহার করা হচ্ছে মশাকেই । গবেষণায় এই নিয়ে নয়া দিশা দেখাচ্ছে বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজে অবস্থিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগ । সাধারণত মশা হয় ছয় প্রকারের । সেগুলি হল – এডিস, অ্যানোফিলিস, কিউলেক্স, আরমিজেরিস, টক্সেরিনকাইটিস ও লুটজিয়া ৷ এর মধ্যে এডিস, অ্যানোফিলিস, কিউলেক্স ও আরমিজেরিস – এই চার ধরনের মশা মানুষের রক্ত খায় । আর টক্সেরিনকাইটিস ও লুটজিয়া মানুষের রক্ত খায় না ৷

যে মশাগুলি মানুষের রক্ত খায়, সেগুলি থেকেই বিভিন্ন মশাবাহিত রোগ হয় । যেমন এডিস থেকে ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়া, অ্যানোফিলিস থেকে ম্যালেরিয়া, কিউলেক্স ও আরমিজেরিস থেকে গোদ হয় । এই ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাধারণত লার্ভা অবস্থাতেই মশা মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় ৷ ব্যবহার করা হয় ব্লিচিং পাউডার । তবে দেখা গিয়েছে, ব্লিচিং পাউডারের ব্যবহারের ফলে কোনও মশার মৃত্যু হয় না । কিন্তু মশার অন্য দুই প্রজাতি, টক্সেরিনকাইটিস ও লুটজিয়া, যারা মানুষের রক্ত খায় না, তাদের ব্যবহার করা যায়, তাহলে মশা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব ৷ কীভাবে ? বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গৌতম আদিত্য বলেন, ‘‘এই সব ধরনের মশাই আমরা কলকাতার মধ্যে পেয়ে থাকি । আমরা দেখেছি টক্সেরিনকাইটিস ও লুটজিয়া প্রজাতির মশা জীবনচক্র চালাতে গেলে মানুষের রোগ সৃষ্টিকারী মশাগুলোকে খেয়ে থাকে ।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *