ক্রমাগত লাগাতার বৃষ্টিতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হল বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন, ধস নামলো ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে , বন্ধ হল যান চলাচল
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি পাহাড় থেকে সমতলে। গত ২৪ ঘণ্টায় অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে পাহাড় ও তরাই-ডুয়ার্সে ৷ আর বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত বাংলা-সিকিম লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ৷ টানা বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে ৷ ব্যহত যান চলাচল ৷ আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলা এবং সিকিমে ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটেছে । যার জেরে জাতীয় সড়ক দিয়ে সমস্তরকম যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক উন্নয়ন নিগম। ধসের জেরে আতঙ্কিত পর্যটনমহলও। জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ফাটল দেখা গিয়েছে । পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর গড়িয়ে পড়েছে ৷ এমত অবস্থায় পর্যটকদের বিকল্প পথে যাতায়াতের আবেদন করেছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মেল্লি, তিস্তাবাজার, লিকুভির, মামখোলা, সেলফিদাড়া, বিরিকদাড়া-সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটেছে । তিস্তাবাজার ও মেল্লিতে জাতীয় সড়কের একাংশ তিস্তার প্রবল জলোচ্ছাসের গ্রাসে চলে যায় ৷ অন্যদিকে মামখোলা, লিকুভির, সেলফিদাড়া ও বিরিকদাঁড়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে । সেখানে পাহাড় থেকে বিশাল আকারের পাথর গড়িয়ে পড়ছে । যে কারণে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।

এদিকে বিকল্প পথ হিসেবে গরুবাথান, আলগাড়া হয়ে সিকিমে যান চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পর্যটকরাও যাতে ওই সড়ক ব্যবহার না-করে সেই আবেদন জানিয়েছেন কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ টি। তিনি বলেন, “পাহাড়ে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে ৷ তিস্তার জলস্তর বেড়েছে ৷ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে । ইতমধ্যেই ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে । জেলা প্রশাসন সেই কাজ শুরু করেছে । সেভক থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । ধস কবলিত এলাকায় এমনকি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য।”
হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “প্রতি বছর বর্ষায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো নজর না-দিলে সড়কটাই থাকবে না। যাতে এই বৃষ্টির সময় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত না-হয়, সেজন্য অনেক আগে থেকেই কাজ করার প্রয়োজন ছিল ।”