‘ চিনের নোংরা খেলা’সীমান্তে , ইটের পাল্টা পাটকেল প্রস্তুত ভারতেরও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ভারত আর চিনের মধ্যে লাইন ওফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি দুই দেশের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করে। যদিও এই এলএসি বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা আসলে ভারত ও চিনের মধ্যের আসল সীমানা হ্নয়। চিন মাঝে মাঝেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এইপারে চলে আসে আর ভারতের জমি ব্যবহার করতে শুরু করে। তারপর ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে ভারতের জমিতেই বাফার জোনের প্রস্তাব দেয়। আর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে নিজেদের দখলে থাকা এলাকায় সবসময় সেনা পরিকাঠামো বাড়িয়ে চলে। যাতে কিনা সবসময় সীমান্তে একটা উত্তেজনা থাকে।
চিন আসলে এই উত্তেজনা বা এসক্যালেশনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাতে চায়। ঘুরিয়ে বললে এই উত্তেজনাকে কাজে লাগিয়ে তারা যুদ্ধ প্রস্তুতিও সেরে রাখতে। আর চিনের সেই পুরনো চালাকি ফের একবার সামনে চলে এল। ব্ল্যাকস্কাই নামে এক মার্কিন সংস্থার তোলা উপগ্রহ চিত্র লালফৌজের মতলব ফাঁস করে দিয়েছে। মতলবটা হলো লাদাখের দিকে এগোনর চেষ্টা। আর এজন্য প্যাংগং লেকের গায়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বড় আকারে সেনা পরিকাঠামো তৈরি করছে তারা। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, সীমান্তের খুব কাছে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার তৈরি করে সেখানে জ্বালানি-বিস্ফোরক মজুত করেছে চিন। মোতায়েন করা হয়েছে ভারি, সশস্ত্র সেনা যান। প্যানগং লেকের উত্তর দিকে পাহাড়ের মাঝে সারজাপ ঘাঁটিকে ওই অঞ্চলের সেনা হেডকোয়ার্টার হিসাবে ব্যবহার করছে লালফৌজ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে যার দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার।
পুরনো স্যাটেলাইট ইমেজ দেখাচ্ছে, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের আগে এই এলাকায় জনমানবের চিহ্ন ছিল না। আর এখন সেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে ঢোকার জন্য ৮টা এন্ট্রি পয়েন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এছাড়াও আরও একটা ছোট বাঙ্কার রয়েছে এই ঘাঁটিতে। সেটিতে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে ৫টি পথ। সারজাপ ঘাঁটিতে একাধিক বড়সড় ভবন তৈরি করেছে পিএলএ। সেনাঘাঁটির সঙ্গে সড়ক ও সুড়ঙ্গ পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে আছে লালফৌজের গোলন্দাজ বাহিনীও।
চিনের এই সামরিক ঘাঁটি গালওয়ান থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে। ফলে চিন্তা একটা থাকেই। ভারত এখনও এই নিয়ে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি। তবে এটা পরিষ্কার যে সামনে সীমান্ত আলোচনার কথা বলে পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। শুধু পূর্ব লাদাখ নয়। লাদাখ থেকে সিকিম। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সব এলাকাতেই আগ্রাসী ভূমিকায় রয়েছে তারা। তবে তৈরি আছে আমাদের দেশও। ঢিল মারলে পাটকেলও খেতে হবে চিনকে।