‘প্রধানমন্ত্রী’ ঘোরতর স্বৈরাচারী , মোদী সরকারকে আপের খোঁচা নতুন অর্ডিন্যান্স জারি করা নিয়ে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শুক্রবার দিল্লি সরকারের ক্ষমতা নিয়ে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্ডিন্যান্স অনুসারে, দিল্লিতে আধিকারিকদের বদলি-পোস্টিংয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। এতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের কোন অধিকার থাকবে না।
দিল্লির প্রশাসনের ক্ষমতা থাকবে কার হাতে? এই প্রশ্নের জবাবে কয়েকদিন আগেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বড় স্বস্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পদস্থ আমলাদের বদলির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, নিজেদের আধিকারিকদের নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার দিল্লির সরকারের রয়েছে। এর আগে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে ছিল দিল্লি সরকারের আমলা বদলির ক্ষমতা।
সুপ্রিম কোর্ট ১১ মে নির্দেশ দিয়েছিল যে অফিসারদের বদলি ও পদায়নের ক্ষমতা দিল্লি সরকারের হাতেই থাকবে। এখন অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আদালতের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে কেন্দ্র। এখন ৬ মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি আইনও সংসদে করা হবে। একইসঙ্গে আপ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেছে, কেন্দ্রের এই অধ্যাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশের অবমাননা। কেজরিওয়াল সরকারের ক্ষমতার রাশ টানতেই এই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে।
অধ্যাদেশ অনুসারে, দিল্লিতে আধিকারিকদের বদলি ও পদোন্নতির জন্য রাজধানীতে সিভিল সার্ভিসেস অথরিটি তৈরি করা হয়েছে। এতে তিনজন সদস্য থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, দিল্লির মুখ্য সচিব এবং প্রিন্সিপাল হোম সেক্রেটারি। এই কমিটি সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। এখন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল একা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। কমিটির সিদ্ধান্তে কোন বিরোধ থাকলে সেক্ষেত্রে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
এদিকে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদী আবারও প্রমাণ করেছেন যে তিনি একজন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী। তারা গণতন্ত্র, সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টে কোনো বিশ্বাস করে না। সুপ্রিম কোর্ট আদেশে বলা হয়েছিল দিল্লির সমস্ত ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে থাকতে হবে, কিন্তু মোদী সরকার একটি অধ্যাদেশ এনে এই সিদ্ধান্তকে উল্টে দিয়েছে। এই অধ্যাদেশ সুপ্রিম আদালতের আদেশের পরিপন্থী।
আপ শিক্ষামন্ত্রী অতীশি আরও জানিয়েছেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কর্তৃত্ব পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার এই অধ্যাদেশ নিয়ে এসেছে। এটা অদ্ভুত যে দিল্লির মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৯০% আসন দিয়েছেন, কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির সরকার চালাতে পারে্ন না। তার প্রতিটি কাজে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র’
অর্ডিন্যান্সকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি এই অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘এই সরকারের দুর্নীতি দিল্লির মান সম্মান নষ্ট করেছে এবং এখন গত এক সপ্তাহে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার যেভাবে দিল্লির প্রশাসনের মানহানি ও স্বেচ্ছাচারিতার চেষ্টা করেছে, ভারতীয় জনতা পার্টি তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের আনা এই অর্ডিন্যান্সকে স্বাগত জানাচ্ছে’।