ফের ডিমের দাম আগুন শহর কলকাতা সহ জেলায়! আরও দাম বাড়বে ডিসেম্বরের শুরুতেই ? চরম আশংকায় সাধারণ মানুষ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : শীতের শুরুতেই কলকাতায় বাড়ল ডিমের দাম। কলকাতায় মুরগির ডিম বৃহস্পতিবার থেকেই ৮ টাকা প্রতি পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। উৎসবের মরসুমে কেকের চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই ডিমের এই দাম বৃদ্ধি। ক্রিসমাসের সময় কেক তৈরির কাজ বেড়ে যায়। যার জেরে ডিমের চাহিদাও বাড়ে। তবে এবছর এক্ষেত্রে ভীষণ সমস্যা তৈরি করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ । ডিম সরবরাহকারী এই রাজ্য এই সময়ে বাংলায় অত্যন্ত কম পরিমাণে ডিম সরবরাহ করছে। যার জেরেই কলকাতার বাজারে বাড়ছে ডিমের দাম। মূলত সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে একটি বিস্তর ফারাকের কারণেই ডিমের এই দাম বৃদ্ধি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ পোল্ট্রি ফেডারেশনের সেক্রেটারি মদন মোহন মাইতির মতে, কলকাতার দৈনিক ডিমের চাহিদা ৮০ লাখ থেকে এক কোটির মধ্যে। ডিসেম্বর মাসে, কলকাতায় কেক তৈরির হিড়িক পড়ে যায়। তারই জেরে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২০-৩০ লক্ষ ডিমের ব্যবহার বেড়ে যায়। এই ঘাটতির জন্য প্রতিবেশী রাজ্য থেকে ডিম আমদানি করতে হয়, যা দামকে ঊর্ধ্বমুখী করেছে। এক ডিম ব্যবসায়ীর মতে, “মাছ এবং খাসির মাংসের দাম বাড়ছে। সাশ্রয়কারী প্রোটিনের ভাণ্ডার হিসেবে ডিমই এক্ষেত্রে আমআদমির সবচেয়ে ভরসার জায়গা। কিন্তু চাহিদা-সরবরাহে বিস্তর ফারাক থেকে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। তবে আগামী বছরের শুরুতে সমস্যা কাটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক ২ কোটি ৮০ লক্ষের মতো ডিমের জোগান লাগে। স্থানীয় হ্যাচারিগুলি ২ কোটি ডিম উত্পাদন করে। অবশিষ্ট চাহিদা প্রধানত অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নভেম্বরের শেষের দিকে এবং ডিসেম্বরের প্রথম দিকে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। যার জেরে এই সময়টায় বহু হ্যাচারিতে মুরগির মৃত্যু হয়। এই ঘটনাও ডিমের জোগানকে প্রভাবিত করতে পারে। এক হ্যাচারি মালিক জানিয়েছেন, তবে শীত পড়ে গেলে সমস্যা মিটবে বলে ।

উৎসবের মরসুমে কলকাতার বেকারিগুলিতে ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়। শহর কলকাতার এক বেকারি মালিক জানিয়েছেন, পিক কেক সিজনে কেক তৈরির কাজ এতটাই বেড়ে যায় যে বাধ্য হয়ে এই সময়টাই তাঁরা বিস্কুটি বা অন্যন্য বেকারি প্রোডাক্ট তৈরি করা বন্ধ করে দেন। এই সময়ে তাঁদের বিপুল পরিমাণ ডিমের প্রয়োজন হয়। তবে অনেকে বলছেন, পরিহণের খরচ বেড়ে যাওয়াও ডিমের দাম বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *