মানিকচকের বিডিও অফিসে মহাভোজ, চরম ক্ষুদ্ধ এলাকার সাধারণ মানুষ
নিজস্ব সংবাদদাতা : উপলক্ষ্য মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ। আর এই প্রশাসনিক কাজকে কেন্দ্র করে সরকারি টাকায় দেদার খানাপিনা সারলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। মানিকচক বিডিও অফিসে রীতিমতো প্যান্ডেল খাটিয়ে চলল মহাভোজ। কবজি ডুবিয়ে খেলেন শাসকদলের তাবড় তাবড় নেতারা। আর এনিয়ে প্রশ্ন করতেই রেগে আগুন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি মণ্ডল। রীতিমতো হুমকি দিয়ে ক্যামেরা বন্ধের নির্দেশ দিলেন সাংবাদিককে।
এদিন বাজেট পেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছিল সাজো সাজো রব। মানিকচক বিডিও অফিস চত্বরে সদ্ভাব ভবনের সামনে বিশাল প্যান্ডেল খাটানো হয়। ভেতরে সারি সারি চেয়ার টেবিল পাতা। বহিরাগত ক্যাটারিং রান্না করেছে নানা রকমারি পদ। মেনুতে পোলাও মাংস মাছ কোন কিছুই বাদ নেই। ভোজে আমন্ত্রিত পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদের সদস্য ও তাদের পরিবার, মানিকচক বিডিও অফিসে কর্মরত সমস্ত সরকারি কর্মচারী, শাসক দলের ছোট-বড় নেতা ও তাদের অনুগামীরা। সব মিলিয়ে শ’তিনেক লোকের পেটপুরে খাবারের আয়োজন। খাবারের পাশাপাশি সকলকে ডায়ের ও পেন উপহার দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতার দাবি ভোজ ও উপহার মিলিয়ে আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার খরচ ধরা হয়েছে। আর সবটা হয়েছে সরকারের টাকায় অর্থাৎ জনগনের টাকায়। সমস্ত খরচ যে সরকারি টাকায় করা হয়েছে তা খোদ স্বীকার করে নিয়েছেন সভাপতি পিংকি মণ্ডল। তিনি জানান, রীতি মেনেই মহাভোজের আয়োজন করা হয়েছে। তবে সরকারের টাকায় দেদার দলীয় কর্মীদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই খাপ্পা হয়ে ওঠেন তিনি। কেন এরকম প্রশ্ন করছেন আঙুল তুলে তা জানতে চান সভাধিপতি।
যদিও এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি ও সিপিএম। সিপিআইএম জেলা নেতা, দেবজ্যোতি সিনহা জানান কীভাবে সরকারি টাকার লুটপাট চলছে এটা তার উদাহরণ মাত্র। মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল জানান, সরকারি আমলারা বর্তমানে শাসকদলের হাতের পুতুল। ইতিমধ্যেই সমস্ত কাজ পেটোয়া ঠিকাদারদের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে। হয়তো বা পেটোয়া ঠিকাদাররাই এই ভোজের আয়োজন করেছিল। কিন্তু চরম ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন , তারা এও জানিয়েছেন এইভাবে অপব্যয় অপচয় করে দল তো নিজেদেরই বদনাম করছে। অবশ্য এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।