লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র , আজও মুম্বইয়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল মুম্বই পুরসভা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিন কে দিন ক্রমশ বৃষ্টি বেড়েই চলেছে মহারাষ্ট্রে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ রাজ্যের জনজীবন। রবিবার প্রবল বর্ষণের কারণে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে এই রাজ্যে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আরও চলবে এই বৃষ্টিপাত। আর তাই সোমবারও মুম্বইয়ের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃহত্তর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।শনিবার থেকে লাগাতার শুরু হওয়া বৃষ্টিতে কার্যত এক রকম জলের তলায় ভারতের বাণিজ্যনগরী। জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি পাতের জেরে । লাটে উঠেছে রেল, সড়ক থেকে বিমান পরিষেবা সবই। বর্ষার গোদাবরী নদি ফুলে ফেঁপে
উঠে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ উঠেছে। দুকূল প্লাবিত করে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সমগ্র নাসিককে।জলবন্দি হয়ে পড়েছে শয়ে শয়ে মানুষ । রবিবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বায়ুসেনা, নৌসেনা ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল নামিয়ে । বিকেলের মধ্যেই বায়ুসেনার এমআই ১৭ হেলিকপ্টার থানের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১৬টি শিশু সহ ৫৮ জনকে উদ্ধার করেছে ।
মুম্বই, পালঘর ও থানেতেও রবিবারও দিনভর প্রবল বৃষ্টি চলেছে । মুম্বই হাওয়া অফিস আরও ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে । একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বার হতে নিষেধ করেছে বৃহত্তর মুম্বই পুরসভা । মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ জানিয়েছেন , “যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বায়ুসেনা। সতর্ক করা হয়েছে নৌসেনা ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকেও। জরুরিকালীন পরিষেবার জন্য প্রস্তুত রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলও ।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের ৪০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মিঠি নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে । গোরেগাঁও ইস্টের রাজীব গান্ধী নগরে বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে জখম হয়েছে চার জন। অন্যদিকে মুম্বইয়ের ধারাভি এলাকায় বন্যার জলে ভেসে গেছেন এক ব্যক্তি। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ও দমকলবাহিনী। থানেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে গোদাবরী নদী। জল ঢুকেছে নাসিকের ত্রম্ব্যকেশ্বর মন্দিরে। নদীর তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি, মন্দিরও কার্যত জলের তলায়।এ দিকে লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মুম্বই এর রেল ও বিমান পরিষেবা। রানওয়েতে জল জমে থাকায় কোনো বিমান নামতে পারছে না মুম্বই এয়ারপোর্টে ।যাত্রাপথও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমানেরও । রেল সূত্রে খবর, অতি ভারী বৃষ্টি এবং সমুদ্রে অতি উঁচু ঢেউয়ের কারণে (রেকর্ড প্রায় রেকর্ড, ৪.৯০ মিটার) ) কার্যত জলের তলায় ট্রেন লাইন।