শহীদ দিবসের পোস্টারে কেন বিধায়কের ছবি মমতা অভিষেকের সঙ্গে? হাইকমান্ড তৃণমূল নেতৃত্বকে শোকজ করতে পারে নির্দেশ অমান্য করায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সোনারপুর বাংলার বাইরের কোন এক রাজ্য। যেন সেখানে তৃণমূল নেতৃত্ব চলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করেই। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস পালন উপলক্ষে ধর্মতলায় জনসভার প্রচারের জন্য যে পোস্টার ব্যানার এবং ফ্লেক্স ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছবি ছাড়া কোন নেতা অথবা নেত্রীর ছবি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ।
এমনকি দলের হেভি ওয়েট সাংসদ এবং বিধায়করা পর্যন্ত যেখানে মমতা ও অভিষেকের ছবি ছাড়া নিজেদের ছবি দেওয়ার চেষ্টা মাত্র করেননি সেখানে সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখা গেল সোনারপুরে। একুশে জুলাই এর পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে জ্বলজ্বল করছে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়িকা অরুন্ধতী মৈত্র ওরফে লাভলি মৈত্রের হাসিমুখের ছবি।
দলীয় কার্যালয় বা বিধায়ক কার্যালয়ের পাশেই ঘাসিয়াড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় গতকাল থেকেই মমতা ও অভিষেকের ছবি পাশাপাশি লাভলি মৈত্রের ছবিসহ অসংখ্য ব্যানার এবং ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের ই অন্য একটি গোষ্ঠী কালীঘাট এবং ক্যামাক স্ট্রিটে মমতা ও অভিষেকের দপ্তরে জানানোর পরেই নড়ে চড়ে বসেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করার পরেও তা অমান্য করে বিধায়ক লাভলী মৈত্রের ছবি মমতা ও অভিষেকের পাশাপাশি ছাপানোর বিষয়টি শৃঙ্খলা ভঙ্গ বলেই মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও এই ছবি ছাপানোর সঙ্গে সরাসরি বিধায়ক লাভলী মৈত্রের কোনো যোগাযোগ নেই বলেই দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে।
তবে তৃণমূল নেতৃত্ব প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে বিধায়ককে খুশি করার জন্য তার কোন অনুগামী অথবা ঘনিষ্ঠ কোন কাউন্সিলার দলের নির্দেশ অমান্য করেছে বলেই। তৃণমূল নেতৃত্বঅবিলম্বে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী সেই সমস্ত নেতা ও নেত্রীকে শোকজ করে লিখিত জবাবদিহি তলব এবং প্রয়োজনে শাস্তি দিতেও বদ্ধপরিকর।