শিক্ষাদপ্তরের রাজ্যের ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রাইভেট টিউশনের অভিযোগে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্কুলের শিক্ষকরা মূলত গৃহ শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে । কোনও স্কুল শিক্ষক, মাদ্রাসা শিক্ষক নিজেকে টিউশনে যুক্ত করতে পারবেন না সবার জন্য শিক্ষা ২০০৯ আইন অনুযায়ী । শিক্ষকরা যাতে প্রাইভেট টিউশন না করেন, তার জন্য রাজ্য সরকার এর আগেও নির্দেশিকা দিয়েছে। সরকারি ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোনও ভাবেই টিউশন করতে পারবেন না বলে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি জেলায়।
যদিও শিক্ষকদের একাংশ প্রাইভেট টিউশন করছেন সরকারি নিয়ম না-মেনে । এই অবস্থায় শিক্ষাদপ্তর ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল প্রাইভেট টিউশনি করার অভিযোগে । ওই প্রাথমিক শিক্ষকরা যে স্কুলে পড়ান, তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই জেলার ডিআইদের। গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন শিক্ষাদপ্তরের কাছে অভিযোগ জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে জানিয়েছে স্কুলের শিক্ষকরা বেআইনি ভাবে প্রাইভেট টিউশনি করছেন বলে। স্মারকলিপির সঙ্গেই গৃহশিক্ষকতা করছেন, এমন সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের নামের তালিকা ও স্কুলের নাম লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন ওই সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সব স্তরই।
ওই শিক্ষকরা উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া, বীরভূম, পুরুলিয়া ও কোচবিহার জেলার বিভিন্ন স্কুলে পড়ান। স্কুল শিক্ষা ডিরেক্টরেট চিঠি পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এবং ওই সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষার ইন্সপেক্টরদের কাছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা নথি সহকারে জানাতে বলা হয়েছে শিক্ষাদপ্তরকেও । যে সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, জানা গিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষাদপ্তর একই ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে ।
এই বিষয়ে টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শদাতা মনোজ চক্রবর্তী শিক্ষাদপ্তরের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ভালো বেতন পান স্কুল শিক্ষকরা। কিন্তু গৃহশিক্ষকরা জীবিকা নির্বাহ করেন শুধু ছাত্রদের পড়িয়েই। গৃহশিক্ষকরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন স্কুল শিক্ষকরা নিয়ম ভেঙে প্রাইভেট টিউশনি করায়। তাই অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে সমস্ত শিক্ষকের প্রাইভেট টিউশনি।