শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে গ্রামবাসীদের জোর ঝামেলা, মানিকচকে স্থগিত হল ভাঙন রোধের কাজ

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : কোন গ্রামের শ্রমিকরা কাজ করবেন? এনিয়ে শুরু বিরোধ ৷ গ্রামবাসীদের সেই বিরোধের জেরে গঙ্গার ভাঙন রোধের কাজ শুরু হতে না হতেই থমকে গিয়েছে ৷ এদিকে আর কয়েকদিন পর থেকেই গঙ্গার জলস্তর বাড়তে শুরু করবে ৷ এই অবস্থায় ভাঙন রোধের কাজ একদিন বন্ধ থাকা মানে দুর্যোগকে আমন্ত্রণ জানানো ৷ তাই এই শ্রমিক অসন্তোষে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দারা ৷ যদিও জেলা সেচ দফতর থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে ৷ দু’চারদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে ৷

বর্ষা শুরু হতেই মালদা জেলায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই অল্পবিস্তর ভাঙন চলছে ৷ অভিজ্ঞ মানুষজনের মতে, সাধারণত জুলাই মাসের শেষ থেকে এই জেলায় নদী ভাঙন শুরু হয় ৷ কিন্তু এবার আগেই তা শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ অগস্টে তার তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হবে ৷ তাই এখন থেকেই ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা প্রয়োজন ৷

এদিকে মানিকচকের ভূতনিতে সেই কাজ শুরুও করে দিয়েছিল সেচ দফতর ৷ ভূতনির কেশরপুর ও কালুটোনটোলা গ্রামে নতুন রিং বাঁধ তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ এই বাঁধ তৈরির জন্য রাজ্য সরকার প্রায় সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ৷ সেই বাঁধ রক্ষা করার জন্য কেশরপুরের দিকে নির্মীয়মান বাঁধ থেকে ৫০০ মিটার দূরে বালির বস্তা ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় দু’কোটি টাকা ৷ ইতিমধ্যে তার টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা শুক্রবার থেকে কাজও শুরু করে দেয় ৷ সেই কাজই শ্রমিক অসন্তোষের জেরে থমকে গিয়েছে ৷

সাধারণত কোনও এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু হলে সেই এলাকার মানুষজনকেই শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ করা হয় ৷ এক্ষেত্রেও তাই করেছিল কাজের বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা ৷ কেশরপুরের বাসিন্দাদের সেই কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তাতে বাধ সাধেন খোসবরটোলা, আটসুইয়া-সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ৷ তাঁরা দাবি করেন, এই কাজে তাঁদেরও নিয়োগ করতে হবে ৷ নইলে তাঁরা কাজ করতে দেবেন না ৷ তাঁদের এই দাবি মানতে নারাজ কেশরপুর গ্রামের মানুষজন ৷ এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায় ৷ একসময় মারমুখি হয়ে ওঠে দু’পক্ষ ৷ পরিস্থিতি ঘোরালো দেখে সেই কাজ আপাতত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঠিকাদার সংস্থা ও সেচ দফতর ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *