সফলতার শীর্ষে পৌছানোর লক্ষ্যে বালুরঘাটের জয় নিরুপম ভাদুরীর কিছু কথা
জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাটের সংকেত ক্লাব এলাকার বাসিন্দা জয় নিরুপম ভাদুরী এলাকায় জয় দা নামেই পরিচিত। ছোট বেলা থেকেই গান বাজনার পরিবেশে মানুষ হয়েছেন জয় বাবু। মা পঞ্চমি ভাদুরীর কাছে (জেলার সুপরিচিত শিল্পী) গানের হাতে খঁড়ি। এরপর গীটার আর কবিতাকে সঙ্গী করে বড়ো হয়ে ওঠা জয় ভাদুরী এখন বালুরঘাট শহরে একজন সুপরিচিত ব্যাক্তি। বেশ কয়েকবছর ধরে হঠাৎ করেই সিনেমা বানানোর ভূত চাপে।
স্ক্রিপ্ট ও গল্প লেখাও শুরু হয় তা নিয়ে। একে একে করে তিনি এ অবধি প্রায় ৪০ টিরও অধিক শর্ট ফিল্ম ও তথ্যচিত্র ও মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করে বানিয়ে ফেলেছেন। অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন অগুনতি, তার ছবি দেশ,বিদেশ রাজ্য সহ বিভিন্ন জায়গায় সুনাম অর্জন করেছে। অর্জন করেছে পরিচিতি, প্রশংসাও কুড়িয়েছেন প্রচুর। এক কথায় বলতে গেলে বালুরঘাটের গর্ব এই জয় নিরুপম ভাদুরী। শর্ট ফিল্ম বানানোর পাশাপাশি তিনি কবিতা, গল্প লেখেন ছবি আঁকেন। আবার গীটারও শেখান। তার গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে ঢাকা ও কলকাতায় বেশ কয়েকটি পত্রিকায়। তার কয়েকটি ছবি বিদেশে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আগামীতে আরো ছবির কাজ করতে চলেছি গল্প ও স্ক্রীপ্ট লেখা চলছে। আসলে আমাদের মতন ইন্ডিপেন্ডেট মুভি মেকারদের সবচেয়ে বড়ো সমস্যা হলো অর্থ। প্রোডিওসার পাওয়া বড়ো মুশকিল হয়। তাই নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে ছবি বানাই। তবে আমার ধারণা ভবিষ্যতে প্রোডিওসারেরা এগিয়ে আসবেন ও আরো ভালো কাজ হবে। বিশেষ করে আগে ছবি বানানো ছিল দুস্কর আর স্বপ্নের মতন এখন বিজ্ঞানের উন্নতির দরুন টেকনোলেজি আরো এগিয়ে এবং বাজারে ভালো ভালো ডিজিটাল ক্যামেরা বেরিয়েছে। যার কারণে চলচিত্র জগতে প্রতিনিয়ত নবীন মুভি মেকাররা বিপ্লব ঘটাচ্ছে। আগামি দিনেও এই মুভি মেকিং-এর রেশ আরো ছড়িয়ে পড়বে বলে আমি নিশ্চিত। আর বিশেষ করে যারা ক্যামেরার পেছনে কাজ ও পরিশ্রম করেন সেই টিমের গুরুত্ব কিন্তু সবচেয়ে বেশী।