বড় অভিযোগ আর্থিক অনিয়মের, গুঁড়িয়ে দেওয়া সুপারটেক ‘টুইন টাওয়ার’ কর্ণধার অবশেষে ইডির জালে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ :বেআইনি অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ED-এর হাতে গ্রেফতার সুপারটেক গ্রুপের মালিক আর কে অরোরা। দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক এফআইআরের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল ED।

নির্মাণ সংস্থা সুপারটেকের চেয়ারম্যান আর কে অরোরাকে ‘মানি লন্ডারিং’ মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। দিল্লিতে সুপারটেকের অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তাঁকে ৩ দিন ধরে জেরা করছে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৭ জুন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি। তদন্তের পরে, আর কে অরোরাকে গভীর সন্ধ্যায় মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের ইডি গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। আর কে অরোরা নির্মাণ সংস্থা’র সংগঠন NEREDCO-এর সভাপতিও।

ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার মামলা ইতিমধ্যেই দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন থানায় সুপারটেক অফ কোম্পানি এবং এর পরিচালকদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই সমস্ত মামলার তদন্তে পিএমএলএর অধীনে তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফ্ল্যাটের নামে ক্রেতাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে ক্রেতাদের ফ্ল্যাট দেওয়া হয়নি। এফআইআর-এ একই অভিযোগ ছিল। ক্রেতাদের হাতে ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই এই কোম্পানির বিরুদ্ধে।

পাশাপাশি প্রকল্পের নামে ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে সংস্থার বিরুদ্ধে জিজ্ঞাসাবাদে, ইডি সন্তুষ্ট না হওয়ায় আর কে অরোরাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার অরোরাকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হতে পারে। উল্লেখ্য ,গত বছর নয়ডায় সুপারটেকের টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এফআইআর-এও অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা ক্রেতাদের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত বছর, নয়ডায় সুপারটেকের অবৈধ টুইন টাওয়ারগুলি আদালতের নির্দেশে ৩,০০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *