১০৮ রোগীর মৃত্যু শুধুমাত্র ৮ দিনেই ! এই সরকারি হাসপাতাল যেন যমালয়ের সমতুল্ল্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : যমালয় বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না হয়তো। সরকারি হাসপাতালে তিনদিনেই ৩৫ রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা দেশজুড়ে। এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবার শিরোনামে উঠে এল নন্দেদের ওই সরকারি হাসপাতাল। এবার জানা গেল, বিগত ৮ দিনে ওই হাসপাতালে আরও ১০৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই এক নবজাতক সহ মোট ১১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের নন্দেদ জেলার শঙ্কর রাও চভন সরকারি হাসপাতালে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষভাগ থেকে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছিল। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবরের মধ্যে কমপক্ষে ৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। পরেরদিন আরও ৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়। সেই সময় হাসপাতালের বেহাল দশা ও পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবকেই রোগীমৃত্যুর কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছিল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এবার নতুন করে আরও ১০৮ জন রোগীর মৃত্যুর খবর মিলতেই ফের প্রশ্ন করা হয় ওই সরকারি হাসপাতালের ডিন শ্যাম ওয়াকোডে-কে। তবে তাঁর মুখে পুরনো বক্তব্যই শোনা গেল। হাসপাতালের ডিন দাবি করলেন, ওষুধের কোনও অভাব নেই।
একসঙ্গে এত রোগী মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়া হলে হাসপাতালের ডিন বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০০-রও বেশি রোগী পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা। ১৯১ জন নতুন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। আগে হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় গড় মৃত্যু হার ছিল ১৩। বর্তমানে সেই মৃত্যু হার ১১-এ নেমে এসেছে। শিশু মৃত্যুর ক্ষেত্রে অধিকাংশ শিশুই কিছু না কিছু ডিসঅর্ডার নিয়ে জন্মেছিল।” ওষুধের জোগান নিয়ে তিনি এও বলেন, “আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রয়েছে। হাসপাতালের কর্মীরাও সমস্ত রোগীদের যথাসাধ্য সাহায্য করছেন। ওষুধের অভাবে কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণেই রোগীদের মৃত্যু হয়েছে।”
মঙ্গলবারই কংগ্রেস নেতা অশোক চাভন দাবি করেন, নন্দেদ হাসপাতালের নিওন্যাটাল ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা নিকু-তে ৬০টি নবজাতককে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু তাদের দেখভালের জন্য মাত্র ৩ জন নার্স রয়েছে। এক একটি ওয়ার্মারে তিনটি করে শিশু রাখা হচ্ছে।