দক্ষিণ কলকাতা প্রবল জলমগ্ন পাঁচ দিন ধরে , তীব্র সংকট এমনকি পানীয় জলেরও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মানুষ ভুগছে প্রবল জলযন্ত্রণায়৷ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও জল জমে রয়েছে ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টিপাতের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও।এখনও জলমগ্ন রয়েছে এমনকি আনন্দপুর, দীনেশ নগর, দাসপাড়া, মুকুন্দপুর, পূর্ব যাদবপুর, সার্ভে পার্ক, গড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা । এমনকি বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়েছে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ভেতরেও। এতে ওইসব এলাকাগুলিতে তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে পানীয় জলের।

এছাড়াও এখনও জলের নিচে রয়েছে উপরোক্ত এলাকাগুলির অধিকাংশ রাস্তাই। এমনকি পানীয় জলের কলগুলি ডুবে গিয়েছে জমা জলে। বৃষ্টির জমা জলের নিচে পূর্ব যাদবপুরের অধিকাংশই বাড়ির সেফটি ট্যাংক। পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক যে দেড় থেকে দুই ফুটের বেশি জল জমে রয়েছে টিউবওয়েলের চারপাশেও। ফলে প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে পানীয় জলের দূষণেরও। সব মিলিয়ে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। কলকাতা পৌরনিগম জলমগ্ন এলাকাগুলিতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ টি পানীয় জলের গাড়ি পাঠাচ্ছে সংক্রমণের আশঙ্কায়।

তবে কলকাতা পৌরনিগমও তৎপর পানীয় জলের সংকট মেটাতে৷ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে দিনে দু’বার করে পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে পৌরনিগমের তরফ থেকে। এছাড়া পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করলেই। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, আরও ভয়ানক পূর্ব যাদবপুরের পরিস্থিতি৷ জলমগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে এমনকি বিস্তীর্ণ এলাকাও। তৈরি হয়েছে এমনকি পানীয় জলের তীব্র সংকটও । বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এমনকি একাধিক বাড়িতেও । তাই পাম্প বন্ধ রয়েছে । তিনি জানিয়েছেন এই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বৃষ্টির জল যাওয়ার স্বাভাবিক পথগুলো বন্ধ করে বড় বড় আবাসন ও বাড়ি তৈরী হওয়ার ফলেই। নিয়মিত জল কিনে খাচ্ছেন বিলাসবহুল আবাসনে থাকা মানুষেরা। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি জল বিক্রি করছে ৫০০ টাকা দরেও। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যে খুবই খারাপ তা একরকম স্বীকার করে নিয়েছেন যাদবপুরের বিধায়ক।

কলকাতা পৌর নিগমের নিকাশি বিভাগের প্রধান তারক সিং মুকুন্দপুর পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন । তিনি পরিদর্শন করেন চৌবাগা বানতলা লকগেটও। এছাড়াও তিনি পরিদর্শন করেন বিদ্যাধরী নদীর দিকে ঘুশিঘাটা পর্যন্ত। তিনি এও জানিয়েছেন, সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে শহরের লাগোয়া খালগুলিরও৷ না হলে কখনো সমাধান হবে না এই সমস্যার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *