একই অভিযুক্তের ২ ভিন্ন ছবি , শাহজাহানও বাঘ’ থেকে বিড়াল হয়ে গেলো হাতবদল হতেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে শেখ শাহজাহানকে তোলার সময় সেই ছবিটা মনে আছে? কার্যত আঙুল উঁচিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। বোঝার উপায় ছিল না তিনি অভিযুক্ত। না ছিল কোমরে দড়ি, না হাতে হ্যান্ডকাফ এলাকার বিরোধীরা তো সরব হয়ে বলেই ফেলেছিল, ‘পুলিশের সাহসই নেই ওর হাত ধরার।’ সেই সন্দেশখালির শাহজাহান এবার সিবিআই আধিকারিকদের জালে। অফিসারদের ঘেরাটোপে কার্যত বদলে গিয়েছে ভাবভঙ্গি। দেখে তো কেউ-কেউ আবার বলেই দিলেন, সন্দেশখালির বাঘ যেন চুপসে বিড়াল হয়ে গিয়েছে।
ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার প্রায় ৫৫ দিন পর যখন শেখ শাহজাহানকে তোলা হয়েছিল বসিরহাট আদালতে সেই সময় যেন তিনি নিজের গর্বেই ফুলে ফেঁপেছিলেন। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে যখন তাঁকে দেখা যায় তখনও ছিল কার্যত ‘সেই’ মেজাজ। চোখেমুখে একটা অদ্ভূত দৃঢ়তা। সাদা ধবধবে জামা, সাদা প্যান্ট, আর সঙ্গে ম্যাচিং ধূসর রঙের নেহেরু কোর্ট। পায়ে সাদা স্নিকার্স। পুলিশি ঘেরাটোপ, আদালত চত্বরে জনভার ভিড়, কিন্তু না সব ছাপিয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। কাঁড়ি-কাঁড়ি অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু ‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজে’ এক ফোটা বোঝাও যায়নি। ঘটনার দিনই বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তাপস ঘোষ বলেছিলেন, “যেন জামাই রাজা”
অথচ,বুধবারের ছবিটা এক্কেবারে ভিন্ন। হাইকোর্টের নির্দেশে যখন তাঁকে সিবিআই নিজাম প্যালেসে নিয়ে যায় কোথাও যেন সেই ‘আত্মবিশ্বাস’, ‘গর্ব’ দেখা গেল না তাঁর মধ্যে। যখন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে শাহজাহানকে সিবিআই নিজেদের গাড়িতে তোলে সেই সময় থেকেই শাহাজাহানের শরীরে ভাষা যেন বলে দিচ্ছে, তিনি হয়ত ধীরে ধীরে মনোবল হারিয়ে ফেলছেন। এরপর যখন জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে শেখ শাহজাহানকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই সময় কার্যত তাঁর হাত ধরে নিয়ে যান সিবিআই অফিসাররা। চারপাশে বাহিনীর ঘেরাটোপ। যা দেখে অনেকেই বলেন শেখ শাহজাহানের পুরনো ছবি যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে।