কোনো রকম সাঁতার না জেনেই নদীতে, পড়ুয়া জলে তলিয়ে গেল বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : জার্সি কিনতে বেরিয়েছিল বন্ধুদের সঙ্গে । সেই বেরনোই যে কাল হবে তা একবারও বুঝে উঠতে পারেনি নাবালকের বাবা-মা। জার্সি কেনার পর নদীতে স্নানে নেমেছিল পড়ুয়া। আর জলে তলিয়ে গেল সে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটে। সেখানে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত দীপ্তার্ক দে(১৬)। বাবা দীপক দে। তিনি পেশায় সরকারি কর্মী। মা-বাবার একমাত্র সন্তান দীপ্তার্ক। জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার ওই পড়ুয়ার স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, এরপর দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার জার্সি কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়৷ ছয় বন্ধু মিলে জার্সি কিনে তারা চলে আত্রেয়ী ড্যামে। সেখানে তিন বন্ধু বসে ছিল উপরে। বাকি তিনজন স্নান করতে নামে। স্নান করার সময় তলিয়ে যায় দীপ্তার্ক। সে কোনো রকম সাঁতার জানত না।

বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কয়েক মাস আগেও এই ড্যামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তারপর আবার এক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, বারবার মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। এদিকে “মৃতের বন্ধু স্বপ্ননীল কর্মকার এও বলেন, “আমরা বসে খাচ্ছিলাম। ওরা তিনজন স্নান করতে নেমেছিল। হঠাৎ হাত-পা ছোড়ার আওয়াজ পাই। তারপর দেখতে পেয়েই আমরা দৌড়ে যাই। পাশে একজন দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকেও বলি। আমরা উদ্ধার করে ওকে হাসপাতালে পাঠাই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *