এখনও থমথমে ক্যানিং, আততায়ীদের কোনো খোঁজ নেই রাতভর তল্লাশিতেও, এমনকি মিলল না ধারাল অস্ত্রও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পুলিশ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ক্যানিংয়ের তিন তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘট। এমনকি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৬ জনের বিরুদ্ধে । কিন্তু,এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার সহ অভিযুক্তরা সকলেই। এদিকে অভিযুক্তদের ধরতে রাতভর তল্লাশিও চালায় বারুইপুর জেলা পুলিশ। যদিও খবর তাতে কোনও লাভ হয়নি বলেই।এমনকি মেলেনি খুনে ব্যবহৃত ধারাল অস্ত্রও। এদিকে, পুলিশ দু’বার তল্লাশি চালিয়েছে ক্যানিং হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ধর্মতলার বাড়িতে । কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর তেমন কোনও তথ্য সেখান থেকে উদ্ধার হয়নি বলে। রফিকুল কোথায় রয়েছে তা নিয়ে কিছু বলতে পারেননি তার মা। তাঁর আরও দাবি, পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে তল্লাশির সময়।
এদিকে ঘটনার পর স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার রফিকুলের বাড়ি ভাঙচুর করেছিল। রফিকুলের প্রতিবেশীদের দাবি, রফিকুল জামিনে কয়েক মাস আগেই ছাড়া পেয়েছে মাদক মামলায়। যদিও সে তখন বাড়ি ফেরেননি। রফিকুলের পরিবারের দাবি, সে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।কিন্তু কেন এই খুন? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে যে গোপালপুর পঞ্চায়েতের তিন তৃণমূল সদস্য স্বপন মাজি, ভূতনাথ প্রামাণিক এবং ঝন্টু হালদারকে প্রথমে গুলি ও পরে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে পুরনো শত্রুতার জেরেই। তদন্তকারীদের মতে, রফিকুল সর্দার স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাদল নস্করকে আক্রমণ করেছিল এনডিপিএস মামলাতে জেলমুক্ত হয়েই। সেই সময় গোপালপুর পঞ্চায়েতের সদস্য স্বপন মাজি বাদলকে বাঁচিয়েছিলেন। ফলে রফিকুলের স্বপনের উপর আক্রোশ ছিল। সেই থেকেই স্বপন রফিকুলের নিশানায় ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্বপন মাজিরা যে রাস্তা দিয়ে বাইকে চড়ে আসছিলেন, দুষ্কৃতীরা এসেছিল তারই বিপরীতদিক থেকে আরেকটি বাইকে করে। প্রথমে দুষ্কৃতীরা স্বপন মাজিদের রাস্তা আটকায়। এরপরই প্রথমে দুষ্কৃতীরা স্বপনকে গুলি করে। কোপানো হয় ধারালো অস্ত্র দিয়েও । এরপর খুন করা হয় বাকি দু’জনকে। হত্যার পর দুষ্কৃতীদের একজন বাইকে করে পালায় এবং অন্য তিনজন চম্পট দেয় মাঠ দিয়ে দৌড়ে । পুলিশ রাস্তা থেকে তিনটি গুলিও উদ্ধার করেছে।ইতিমধ্যেই সিআইডি এই তিন হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমেছে।
এদিকে তৃণমূলের দাবি দলের তিন পঞ্চায়েত সদস্যদের খুনের নেপথ্যে বিজেপি ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে । পাল্টা গেরুয়া দলের অভিযোগ, এই খুন শাসক শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই। সিপিআইএম জানিয়েছে যে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু হল শাসকের প্রতাপ ও খুনের রাজনীতি।