ওটস কীভাবে কাজ করে ওজন কমাতে? মুশকিল আসান ব্রেকফাস্টে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ব্রেকফাস্টে রুটি -সবজির বদলে ওটস খেয়ে দেখুন হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচাবে আপনাকে। প্রতিদিন এক বাটি ওটস খেলে এই মারাত্মক রোগগুলো ধারেকাছে ঘেঁষবে না। ওজন কমাতে চাইলে কীভাবে খাবেন ওটস? দুধ-ফল দিয়ে ওটস খাবেন নাকি সবজি দিয়ে! স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো জানেন কি? ওটস খাওয়ার নিয়মে কোনও ভুল করছেন না তো? ব্রেকফাস্টে ওটস খেয়েছেন? উত্তরটা না হলে এখন থেকে অভ্যেস করুন। এটি পেটকে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত যেমন ভরপুর রাখে। তেমন এতে খিদেও কম পায়। আপনার হার্ট থেকে পেটের খেয়াল রাখবে ওটস। কিন্তু সঠিকভাবে ওটস না খেলে এর কোনও গুণই আপনি পাবেন না।

ব্লাড প্রেসার থেকে হার্টের অসুখ নিয়ন্ত্রণে ওটস একটি খাবার যাকে সুপারফুড বললেও ভুল হবে না। ওটসের মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল থেকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার রয়েছে। একে বলা হয় পুষ্টির ভান্ডার। এটি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনই এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। অনেকেই আছেন যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের বলছি ওটস খাওয়া শুরু করুন তাহলে নিজেই তফাত বুঝতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি ওটসের মধ্যে ফাইবার থাকায় তা পাইলসের ঝুঁকি কমায়। রোজ পেটও পরিষ্কার হয়। এমনকী ওটস ওজন বদ হজমের সমস্যা দূর করে। আপনি যদি ডায়েট করার কথা ভাবেন তাহলে ব্রেকফাস্টে সবচেয়ে ভালো খাবার হল ওটস।

আমাদের শরীরে পুষ্টি জোগায় সেই সঙ্গে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ওটসের মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই থাকে না। কিন্তু ওটসের কোন পদ আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো? ওজন কমাতে চাইলে কীভাবে খাবেন ওটস? দুধের সঙ্গে ওটমিল বানিয়ে খেতে ভালবাসেন অনেকেই। এই ভাবে ওটস খেলে অবশ্যই শরীরে সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। কিন্তু দুধ দিয়ে ওটমিল খাওয়ার সময় চিনি ব্যবহার করবেন না। চিনিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে

তাই ওটস খেলেও কোনও লাভ হবে না আপনার। চিনির বদলে আপনি মধু ব্যবহার করতে পারেন টক দই দিয়েও ওটস খেতে পারেন। নানা ফল মিশিয়েও খাওয়া যায়। অনেকে ওটসের উপমা, ওটসের পোলাও, ধোসা, ইডলি, ওটসের খিচুড়ি খেতে ভালবাসেন। কিন্তু এই রেসিপিগুলো তৈরি করার সময় তেলের পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন। পাশাপাশি সবজি ব্যবহার করুন। গাজর, বিনস, মটরশুটি ছোট ছোট করে কেটে নিন। এগুলো প্রথমে এক চামচ ঘিতে হালকা করে ভেজে নিন। এরপর এগুলো ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে মনের মতো করে পদ বানিয়ে নিন। এতে ওটসও খাওয়া হবে পাশাপাশি সবজির গুণও পাবেন। ওটসের খিচুড়ি, পোলাওয়ের ক্ষেত্রে মশলা ব্যবহার করা হয়। এগুলোও স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে আপনি বাদামও দিতে পারেন। এতে স্বাস্থ্য ও স্বাদ দুটোই বজায় থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *