এবার কি বিরোধী ঐক্যে একদিনেই ইতি ? তৃণমূল এড়াল খাড়্গের ডাকা বিরোধী দলের বৈঠক, একাই ধরনা সংসদ ভবনের বাইরে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : একদিনেই ভাঙন জোটে? কংগ্রেসের থেকে ফের দূরত্বই বজায় রাখল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ আদানি ইস্যু নিয়ে এবং ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সংসদে ধরনা দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা । কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র, সংবিধান ব্যবস্থা, সংসদ ধ্বংস করছে, এই অভিযোগেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে, এই দাবিতেই তাঁরা ধরনা দেওয়া শুরু করেন। তবে সংসদে কংগ্রেসের ডাকা সমমনস্ক বিরোধী দলগুলির বৈঠকে আজ তৃণমূলের কোনও সাংসদকে দেখা যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে, রাহুল ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ালেও, তৃতীয় ফ্রন্টের সিদ্ধান্তেই কি অনড় থাকছে তৃণমূল?
বুধবার সকালে সংসদে আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধরনা শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। তাঁদের হাতে ধরা পোস্টারে লেখা “সেভ ডেমোক্রেসি, সেভ কন্সটিটিউশন, সেভ পার্লামেন্ট, সেভ ফেডেরালিজম”। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র, সংবিধান, সংসদ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। এদিনের ধরনায় যোগ দেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর সরকার, শান্তা ছেত্রী, সুস্মিতা দেব, মৌসম নুর ও মহুয়া মৈত্র।
জানা গিয়েছে, আজ রাজ্যেও যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসের বড় কর্মসূচি রয়েছে, তাই সৌগত রায়, শান্তনু সেনের মতো তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সাংসদ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে এসেছেন। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলা চত্বরে যে ধরনা কর্মসূচিতে বসছেন, তাতে যোগ দিতেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন কয়েকজন সাংসদ। অন্যদিকে, দিল্লিতে সংসদ অধিবেশনের জন্য় রয়ে গিয়েছেন ১৫ জন সাংসদ।
এদিকে, ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিরোধীদের ঐক্য। এদিন সংসদে অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ডাকা সমমনস্ক বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন, সেখানে তৃণমূলের কোনও সাংসদকে দেখা যায়নি। সংসদ অধিবেশনের শুরু থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ‘একলা চলো’ অবস্থান অনুসরণ করেছে। কিন্তু সম্প্রতিই রাহুল গান্ধীর মানহানি মামলায় সাজা এবং তার জেরে সাংসদ পদ খারিজের পর কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়ায় তৃণমূলও।