করোনা মানসিক ভাবে ক্ষতি করছে ছোটদেরকেও , এমনটাই বলছেন চিকিৎসকেরা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোটা বিশ্ব একরকম নাজেহাল হয়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের করাল গ্রাশে। বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করেই। সম্প্রতি এই তালিকায় ভারত রয়েছে প্রথমের সারিতেই। তার কারণ ভারতে প্রতিদিন করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। বাড়ছে এমনকি সংকটজনক রোগীর সংখ্যার পরিমাণও। সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যে লকডাউন এবং কার্ফু চালু করা হয়েছে ভারতের একাধিক রাজ্যে। আবার ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে অনেক মানুষ নিজে থেকেই ঘরবন্দী হয়ে রয়েছেন। কারণ করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আগের থেকে।
করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে আগের তুলনায়। সেই কারণে শিশুদের কথা ভেবে বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করেছে অনেক অভিভাবকই। তবে বাচ্চাদের সুরক্ষার উপায়গুলি সন্ধান করার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের মানসিক দিকটি খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদেরই।
মুলন্ডের ফর্টিস হাসপাতালের সিনিয়র শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জেসাল শেঠ জানিয়েছেন, মহামারীর সময় বাচ্চারা শারীরিক এবং মানষিকভাবে বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাড়িতে থাকার কারণে। শিশুরা হতাশ এবং ক্রমশ ভীতু হয়ে পড়ছে অনলাইন পড়াশোনা, আইসোলেশন, বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন, সামাজিক যোগাযোগ থেকে বিছিন্ন থাকা এবং খেলার অভাবের মতো বিষয়ের কারণে। এই শিশু বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছে বেশিরভাগ অভিভাবক পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও শিশুদের মানসিক চাহিদার বিষয়টা উপেক্ষা করে থাকে বলেই।
অন্য এক ডাক্তার আবার জানিয়েছেন, এক অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা মিলছে মহামারীর সময় শিশুদের টিপিক্যাল গ্রোথ, শিক্ষা, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং অনুভূতির ক্ষেত্রেও। স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভাবের মতো বিষয়গুলি এর কারণ হতে পারে । ভবিষ্যতে একটি খারাপ রূপ নিতে পারে বাচ্চাদের মধ্যে মানসিক সমস্যা, সে কারণে অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করা। আগামী দিনে যাতে শারীরিক সুরক্ষার সঙ্গে বাচ্চাদের মানষিক সুরক্ষাও ঠিক থাকে নজর রাখতে হবে সেই দিকেও। কারণ এই মানসিক বিষাদ বাচ্চাদের নিয়ে যেতে পারে এক অন্ধকারের দিকেই।