মহিলা কমিশনারের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়ল স্পা মাসাজের জন্য খোঁজ খবর নিতেই

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে এটি একদিকে যেমন সংযোগ করায় একে-অপরের সঙ্গে আবার অন্যদিকে এটি পরিণত হয়ে গিয়েছে বেআইনি কাজ করার অন্যতম প্ল্যাটফর্মেও। দিল্লির রাজ্য মহিলা আয়োগের কমিশনার স্বাতী মালিওয়ালের সঙ্গে হওয়া এক ঘটনার মধ্যে দিয়ে পাওয়া গেল সেরকমই এক চাঞ্চল্যকর প্রমাণ। তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শুধু মাত্র কোনো খারাপ ঘটনাই নয়, বরং ভাবতে হবে আমরা কোন পথে যাচ্ছি সেটাও। আসলে স্বাতী মালিওয়াল স্পা মাসাজের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে চেয়েছিলেন জাস্ট ডায়ালে ফোন করে, এরপর তাঁকে জানানো হয় ১৫০-এর বেশি কলগার্লসের রেট। মহিলা কমিশনের কমিশনার যা শোনার পর রীতিমতো চমকেও যান।

এই খবর স্বাতী মালিওয়াল নিজেই টুইট করেন। স্বাতী মালিওয়াল তাঁর টুইটে আরও বলেছেন, ‘‌আমরা জাস্ট ডায়ালে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি নকল স্পা মাসাজ সম্পর্কে, তখন আমাদের ফোনে এমন ৫০টি মেসেজ আসে যাতে বলা হয়েছিল ১৫০ টিরও বেশি মেয়ের রেট। আমি সমন জারি করছি জাস্ট ডায়াল এবং দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চে, আরও জানতে চাওয়া হয় এই ব্যবসার প্রচারে ঠিক কী ভূমিকা জাস্ট ডায়ালের?

জাস্ট ডায়াল ও দিল্লি পুলিশকে সমন: এদিকে দিল্লি রাজ্য মহিলা কমিশনের কমিশনার স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন যে দিল্লি পুলিশকেই করতে হবে এই মামলার তদন্ত তাই নোটিস পাঠানো হয়েছে তাদেরকেই। এই মামলায় জাস্ট ডায়াল মূলত নিজেই একটি পার্টি। স্বাতী মালিওয়াল এও বলেন, ব্যবস্থা নেব ‘‌যতটুকু সম্ভব। দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত। এটা কোনও রকমে সহ্য করা হবে না।’‌

আরও জানা গিয়েছে যে দিল্লিতে অনেক জায়গায় অবৈধ ব্যবসা চালানো হয় স্পা ও ম্যাসাজ সেন্টরের নামে। পুলিশ সময় সময় তল্লাশিও চালায় এই জায়গাগুলিতে।প্রসঙ্গত, অল্প বয়স্ক বিভিন্ন মেয়েরা শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের কারণে কাজ করেন এই মাসাজ সেন্টারগুলিতে। এইসব মেয়েরা নিজেদের রেট জানান গ্রাহকদের ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে ,এবং তারপর গ্রাহকরা মেয়ে বাছাই করেন তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী। এরপর মাসাজ সেন্টারে বা খোদ গ্রাহকের বাড়িতেও পরিষেবা দিতে আসেন এইসব মেয়েরা। পরিষেবার আড়ালে চলে এমনকি অবৈধ ও অভাব যৌনতা। যা বন্ধ করার জন্য মহিলা কমিশনার ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *