গোপন কোনো অভিসন্ধি আছে কেন্দ্রের ! অবশেষে তৃণমূলের চরম বিরোধিতা ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র সিদ্ধান্তের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে এক দেশ এক নির্বাচনের তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্ব। মঙ্গলবার ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত হাই লেবেল কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করে বিরোধী দলের নেতৃত্ব। এদিকে দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের তরফে দেখা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।
বৈঠক শেষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, “আমরা কোনওভাবেই এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে নই। বরং দলবদল বিরোধী আইন কেন্দ্র আরও কঠোর করুক। আসলে এক দেশ এক নির্বাচনের আড়ালে কেন্দ্রীয় সরকারের লুকানো কোনো মতলব রয়েছে।” জানা গিয়েছে সিপিএম, এনসিপির মতো বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্বও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলে ।
এক দেশ এক নির্বাচন সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখতে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি হাই লেবেল কমিটি গঠন করে মূলত কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্নৈতিক দল ছাড়াও বর্তমান ও প্রাক্তন বিচারপতি, যোজনা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছাড়াও সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যক্তিদের মতামত নিচ্ছে এই কমিটি। এদিন কমিটির সদস্যরা আলাদা আলাদা করে তৃণমূল-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন তৃণমূলের দুই সাংসদ মারফত রামনাথ কোবিন্দকে একটি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানান, ভারত এক বিশাল দেশ। ২৯টি রাজ্য, ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ও ১৪০ কোটি জনসংখ্যা। এত দল এত রাজ্য। ১৯৫২ থেকে যে নির্বাচন শুরু হয়, তখন এত রাজ্য ও রাজনৈতিক দল ছিল না। এখন এটা স্পষ্ট যে, যে কোনও সময় দল ভাঙিয়ে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া যায়। এই অবস্থায় জোর দেওয়ার প্রয়োজন দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অক্ষত রাখতে ও সংসদীয় গণতন্ত্র যাতে বিপন্ন না হয়, সেদিকেই । আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছি দেশে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গর্ভমেন্ট’ গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তারই পদক্ষেপ হিসাবে এটা লুকনোর পরিকল্পনা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠারও।