ঝরে পড়ছে রক্ত, রাহুল গান্ধীর হাতে ‘মাথা ফাটল’ এই বিজেপি সাংসদের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আম্বেদকর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। শীতকালীন অধিবেশন শেষের ঠিক একদিন আগে নতুন ভাবে সরগরম সংসদীয় রাজনীতি। তর্ক কিংবা বিতর্ক নয়। সরাসরি সংঘাত। অশান্তির আঁচ পড়ল সংসদে। কংগ্রেস-বিজেপি সাংসদদের ধাক্কাধাক্কির মাঝে মাথা ফাটল বিজেপি সাংসদ প্রতাপ ষড়ঙ্গীর। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ধাক্কা মারার অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ। পাল্টা থেমে থাকেননি কংগ্রেস সাংসদরাও। মল্লিকার্জুন খড়্গে ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ধাক্কা মারা হয়েছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বিরোধী শিবির। অবশ্য, বিজেপি নেতার অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি রাহুল গান্ধী। এদিন তিনি বলেন, ‘সংসদের মধ্যে প্রবেশের অধিকার ও অনুমতি আমাদের রয়েছে। কিন্তু বিজেপি সাংসদরা ক্রমাগত সংসদে ঢুকতে আমাদের বাঁধা দিচ্ছিল। এমনকী আমাকে হুমকি-হুঁশিয়ারিও দেওয়া হচ্ছিল।’

জানা যায়, এদিন কংগ্রেস সংসদীয় কমিটি বৈঠকের পরেই উত্তেজনার সূত্রপাত। বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে মিছিল করেন অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদরা। সংসদের প্রবেশদ্বারের সামনে দাঁড়িয়ে চলে প্রতিবাদ। সেই ফাঁকেই রাহুল গান্ধী সংসদের মধ্যে প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে বাঁধা দেন বিজেপি সাংসদরা, এমনটাই অভিযোগ লোকসভার বিরোধী দলনেতার।

কোথা থেকে বিতর্কের উত্থান? বেশ কয়েকদিন ধরেই আম্বেদকর ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে সংসদ। বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে দুই কক্ষেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় সংবিধানের পঁচাত্তর বছর নিয়ে বিতর্কের শেষে জবাবি বক্তৃতায় অমিত শাহ বলেন, ‘এখন একটা ফ্যাশন হয়েছে, আম্বেদকর, আম্বেদকর। এত বার ভগবানের নাম নিলে সাত জন্ম পর্যন্ত স্বর্গ লাভ হত।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য়ের পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পারদ চড়িয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পথে নেমেছে বিরোধীরা। ইস্তফা থেকে ক্ষমা শাহের নানা ভাবেই তীর ছুড়েছে বিরোধী শিবির। অবশ্য, এসবের ফাঁকে শাহকে এক প্রকার আগলে রেখেছেন মোদী, মত একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *