তবে কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শুনানির অধিকার হারালেন টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়ে? বিরাট নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালতের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : নিয়োগ দুর্নীতি মামলা আদালতে বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টিভি সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন সেই প্রসঙ্গেই। যা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেসও। শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তোপ দাগেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক নেতাদের মত আচরণ করেছেন বলে । এবার সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ করল বিচারপতির গণমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়ে। টুইট করে এমনি দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে দু’টি টুইট পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই তিনি লেখেন, ‘বিচারপতি গাঙ্গুলি টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন? দিয়ে থাকলে তিনি আচরণ করেছেন রাজনৈতিক নেতাদের মত । জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্টও তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে। এর সঙ্গে আরও কড়া মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এই কথাই তো এতদিন বলে আসছিলাম সবিনয়ে ।’
অন্য একটি টুইটে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ আরও লিখেছেন,’সুপ্রিম কোর্টের আজকের বক্তব্যের পর বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত সরাসরি রাজনীতি করা বিচারব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে । বিচার চালানোর কোনো নৈতিক অধিকার তাঁর নেই।’
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভি সাক্ষাৎকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগিও । সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াউই চন্দ্রচূড় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রিপোর্ট চাইলেন সেই আবেদনের ভিত্তিতেই । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কোনও টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে তা শুক্রবারের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে হলফনামা হিসাবে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একরকম সরগরম বাংলা। যা নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত সেপ্টেম্বরে একটি বেসরকারি বৈদ্যুতীন সংবাদমাধ্যমকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তোলপাড় করা বক্তব্য পেশ করেছিলেন সেই সাক্ষাৎকারে । নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ সহ তিনি নানা কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও । যা নিয়ে মূলত ব্যাপক হইচই পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। কীভাবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভি সাক্ষাৎকার দিলেন বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল তা নিয়েও । এমনকি সরব হয় তৃণমূলও। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ‘মহামান্য বিচারপতি শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি কিন্তু তিনি তাঁর চেয়ারের অপব্যবহার করছেন। রাজনৈতিক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছেন ব্যক্তিগত প্রচারের জন্য।’