প্যারিস অলিম্পিকে স্পোর্টস ম্যান হিসাবে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ বসাক এবং তার ভাই
নিজস্ব সংবাদদাতা : প্যারিস অলিম্পিকে সিটি জেন্টস পোর্টম্যান হিসেবে যাচ্ছেন বিদ্যুৎ বসাক এবং তার ভাই বিপ্লব বসাক। দাদা আগামীর দোসরা আগস্ট প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। বিদ্যুৎ বসাক জানালেন ভিসা আসতে দেরি হওয়ার কারণে একটু অনিশ্চয়তার মধ্য ছিলাম। গতকাল আমার কাছে ভিসা এসে পৌঁছেছে। আমি তৈরি হচ্ছি অলিম্পিকে ভারতীয় অ্যাথলেটিক এবং ক্রীড়াবিদদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য। অলিম্পিক হল ” দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দা আর্থ ” খেলা- যারা তারা সবাই ভালবাসেন হয় বিশ্বকাপ ফুটবল অথবা অলিম্পিকে যেতে চান। এটা তাদের ইচ্ছা বা স্বপ্ন থাকে। আমি গর্বিত এবং আনন্দিত এই খবর আসার জন্য জানালেন বিদ্যুৎ বসাক।
তিনি আরো জানান আমি আশাবাদী এইবার অলিম্পিকে ভারতীয় দলের ক্রীড়াবিদরা দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। এবারে সর্বোচ্চ পদক জয় করবে ভারতীয়রা আমি দাবি জানাচ্ছি অথবা বলতে পারেন দাবি করছি। আমি এখান থেকে দিল্লি হয়ে জার্মানি হয়ে প্যারিসে চলে যাব। সব খেলা হয়তো দেখতে পাবো না কারণ ওখানকার টিকিটের দাম প্রচন্ড বেশি। ভারতীয় হাই কমিশনের কাছে আমরা দাবি জানিয়েছি যে আমাদের যেন কিছু সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া হয়। ছোট থেকেই আমি খেলা ভালোবাসি আমার খুব ইচ্ছে ছিল অলিম্পিকে নিজের চোখে ভারতীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখার জন্য। আমার কাছে খেলাধুলার বহু স্মারকআছে কিন্তু অলিম্পিকের ব্যাপারটা এইবার প্রথম আমার সাথে ঘটবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাচ্ছি। ভারতীয় খেলোয়াড়রা দেশের নাম উজ্জ্বল করুক এবং আগামী দিনে দেশকে তারা আরো উঁচু জায়গায় নিয়ে যাবে এই কামনা করি। একজন ভারতীয় হিসাবে আমি সবসময় চাইবো ভারত পদক জিতুক, তবে অলিম্পিক একটা শক্ত প্রতিযোগিতার খেলা সবাই সীমিত শক্তি নিয়ে আসে না, আধুনিক প্র্যাকটিস মনসংযোগ দরকার অলিম্পিকে পদক জিততে। আমার খুব ইচ্ছা অ্যাটলেটিকস মিট গুলো দেখা যেখানে ভারতীয় প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবে। বিদ্যুৎ বাবু আরো জানান এই খবর পাওয়ার পর আমার পরিবার আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে , বলতে পারেন এটাও আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। অলিম্পিক থেকে ফিরে এসে আমি আমার সব অভিজ্ঞতাই এখনকার খেলোয়ারদের মধ্য ছড়িয়ে দেব বলেও জানান বিদ্যুৎ বসাক।