প্রথমেই কেন গ্রেফতার নয় পকসো আইনে? সাক্ষী মালিকের গুরুতর অভিযোগ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : “পকসো আইনে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নাবালক কুস্তিগীরের প্রথম বক্তব্য রেকর্ড করার সময়ই ব্রিজ ভূষণকে যদি গ্রেফতার করা হত তাহলে নাবালক তার অভিযোগ কখনই প্রত্যাহার করতেন না। অন্য মেয়েরাও এগিয়ে এসে অভিযোগ করত (যৌন হয়রানির বিষয়ে)”। দিল্লি পুলিশের পেশ করা চার্জশিট নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার সময় সাক্ষী মালিক ওই নাবালক কুস্তিগীরের অভিযোগ প্রত্যাহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, ওই নাবালক কুস্তিগীরকে নানান ভাবে চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সাক্ষী এদিন সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, আদালতকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” গতকালই পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেছে, দিল্লি পুলিশ ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে POCSO মামলা বাতিলের সুপারিশ করেছে যেহেতু নাবালক কুস্তিগীর তার অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন।
৭ জুন, ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বজরং পুনিয়া এবং সাক্ষী মালিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কুস্তিগীরদের আশ্বাস দেন ১৫ জুনের মধ্যে পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করবে। এরপর কুস্তিগীররা তাদের বিক্ষোভ ১৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত করতে সম্মত হয়। দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এফআইআর-এর ভিত্তিতে চার্জশিট পেশ করেছে। চার্জশিটে পুলিশ WFI প্রধানের বিরুদ্ধে কুস্তিগীরদের লাঞ্ছনা, মহিলার শালীনতাকে ক্ষুন্ন করার একাধিক ধারায় চার্জশিট দাখিল করেছে।
দিল্লি পুলিশের তরফে এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘কুস্তিগীরদের এফআইআর-এর প্রেক্ষিপ্তে, তদন্ত শেষ হওয়ার পরে, আমরা অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে 354, 354A, 354D IPC এবং 109, 354, 354A, 506 IPC ধারার অধীনে অপরাধের জন্য একটি চার্জশিট দাখিল করছি’৷ সেই সঙ্গে দিল্লি পুলিশ পাটিয়ালা হাউস কোর্টে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে নাবালক কুস্তিগীরকে যৌন হেনস্থার মামলা বাতিলের প্রতিবেদন দাখিল করেছে এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ ৪ঠা জুলাই। এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পকসো বিষয়ে, তদন্ত শেষ হওয়ার পরে, আমরা ১৭৩ সিআর পিসি ধারার অধীনে আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছি যাতে অভিযোগকারীর বিবৃতির ভিত্তিতে মামলা বাতিল করার অনুরোধ করা হয়েছে “।