মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে অর্কিড পার্ক গড়ে উঠছে গাজোলডোবার ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : চলতি বছরে এক নতুন চমক ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রে। ভোরের আলোয় মিলবে অর্কিডের দেখাও । মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলোয় অর্কিড পার্ক গড়ে উঠছে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে।
এবারে তিস্তা পারেই থাকছে চলেছে দেশ-বিদেশের প্রায় কয়েকশো প্রজাতির দূর্মূল্য অর্কিডের সম্ভার। শুধু চোখ জুড়িয়ে অর্কিড দর্শন নয়, এখানে সুযোগ মিলবে বিভিন্ন প্রজাতীর অর্কিডের বিস্তারিত তথ্যও জানারও । ক্রমশ নিত্যনতুন পালক জুড়ছে বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখ্যযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্ৰকল্প ভোরের আলোয়। রাজ্যের এই পর্যটন হাবকে সাজিয়ে তুলতে পর্যটন দপ্তরের পাশাপাশি সম্প্রতি উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনও।
এদিকে ভোরের আলোয় নৌকাবিহারের পর তিস্তার বুকে নামানো হচ্ছে হাউজবোটের ধাঁচে শিকারাও। আর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে ভোরের আলো পর্যটন হাবে উত্তরের অর্কিড পার্ক।পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই ৮০%কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। উত্তর পশ্চিম ভারতপ্রায় কয়েকশো প্রজাতীর অর্কিডের উৎস ভূমি। সেরকম উত্তর পশ্চিম ভারতের বেশকিছু প্রজাতির অর্কিড আনা হয়েছে। এছাড়াও নানা ধরনের অর্কিডের পাশাপাশি বনাঞ্চলের বেশ কিছু প্রজাতির বন্য অর্কিড রয়েছে। এ ধরণের বেশ কিছু বিরল প্রজাতির অর্কিড দর্শনের সুযোগ মিলবে ভোরের আলোর অর্কিড পার্কে পর্যটকদের। বর্তমানে যুদ্ধকালিন প্রস্তুতিতে চলছে বিভিন্ন প্রজাতীর অর্কিড রোপন ও রক্ষনাবেক্ষনের কাজ।
পর্যটন দপ্তরের ডিরেক্টর জ্যোতি ঘোষ জানান অর্কিড পার্কের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সম্ভবত এই কাজ সম্পন্ন করে দ্রুত পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে পার্ক। এক একর জমির ওপর এই অর্কিড পার্কটি রয়েছে। এখনও কাজ সম্পন্ন হয়নি তবে পর্যটন দপ্তরের তরফে এক থেকে দেড় কোটি টাকা এই প্ৰকল্প বাবদ বরাদ্দ রয়েছে।