রাজ্যের তিন মন্ত্রী বসে বইমেলার উদ্বোধনে মঞ্চ আলো করে! খাঁ খাঁ করছে মেলার মাঠ!
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবাক কাণ্ড! জেলা বইমেলার উদ্বোধনে এসে ফাঁকা মাঠ দেখে বিরক্তি প্রকাশ গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুলা চৌধুরীর। এমন মহতী উদ্যোগে কেন সাড়া মিলল না, সেব্যাপারে তিনি জানতে চেয়েছেন বইমেলার উদ্যোক্তাদের কাছে। বইমেলা নিয়ে প্রচারের কাজে কোনও ফাঁক ছিল কিনা সেই বিষয়টিও জানতে চেয়েছেন মন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের রাখাল মেমোরিয়াল ফুটবল মাঠে ১৯তম জেলা বইমেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই বইমেলার উদ্বোধনে গিয়েছিলেন জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী। বইমেলার উদ্বোধনের দিন গোটা মাঠ কার্যত ফাঁকাই ছিল। তা দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজ্যের তিন মন্ত্রী, পুরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা থাকলেও মানুষের দেখা নেই। কেন এমন হল!।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৯তম বইমেলায় হাতে গোনা কয়েকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মঞ্চে অতিথিদের আসন পরিপূর্ণ থাকলেও দেখা মেলেনি বইপ্রেমীদের। যা দেখে এক প্রকার ক্ষোভ করেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী-সহ মঞ্চে থাকা আরও দুই মন্ত্রী অখিল গিরি ও বিপ্লব রায়চৌধুরী।
এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বইমেলার থিম “ভাষা শিখব বই লিখব”। জেলা বই মেলা চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। ১৯তম জেলা বই মেলায় মোট ৭৪ টি বইয়ের স্টল রয়েছে।
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি ও মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ শৌভিক চট্টোপাধ্যায়, তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়-সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরীর পাশাপাশি বইমেলা বইপ্রেমীদের উৎসাহ কম থাকায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন রাজ্যর আরও দুই মন্ত্রী।