রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে জম্মু-কাশ্মীরকে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় জানালো সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, জম্মু কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। জম্মু-কাশ্মীরের যুদ্ধ পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেই অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা হিসাবে ৩৭০ অনুচ্ছেদ গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ জানান, ৩৭০ অনুচ্ছেদ সাময়িক ব্যবস্থা ছিল। প্রধান বিচারপতির এই রায়ের পক্ষে সম্মতি দেন বিচারপতি গাভাই ও বিচারপতি সূর্য কান্ত। ভিন্ন তবে সমান্তরাল রায় দেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল। দুইপক্ষেই রায় দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। এ দিন শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকবে লাদাখ।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে লাদাখের পুনর্গঠনকে বহাল রাখা হচ্ছে। কারণ ৩ অনুচ্ছেদ ৩ রাজ্যের একটি অংশকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে তৈরি করার অনুমতি দেয়। জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচন করাতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে হবে, এমনি নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।
উলেখ্য , জম্মু-কাশ্মীরের গণপরিষদ কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা ছিল না। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গণপরিষদের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষমতা রয়েছে। রাজ্যের অনুমোদন না নিয়ে কেন্দ্রের কথামতো রাষ্ট্রপতির পদক্ষেপ এক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে অবৈধ নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বিধানসভার মতামত মানতে বাধ্য নয় সংসদ।
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায়ে আরও জানানো হয়, কেন্দ্রের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত বৈধ। ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের নির্দেশও বৈধ। রাষ্ট্রপতির নিত্যদিনের কাজ কখনোই বিচারবিভাগের পর্যালোচনার বিষয় হতে পারে না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এও বলেন, “আমরা মনে করি, ভারতে অন্তর্ভূক্তির পর জম্মু-কাশ্মীরের কোনও অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্বের গুরুত্ব রাখে না।”