অতি সহজ উপায়ে পেঁপে চাষ করুন ছাদ ও বাগানে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বাড়িতে সহজ উপায়ে এখন সবজির চাষও করতে পারেন ফুল ও ফল গাছের পাশাপাশি। যদি আপনি অনুসরণ করে চলেন সাধারণ কয়েকটি পদ্ধতি। এমনকি পেঁপে গাছও বসাতে পারেন বাড়ির ছাদে অথবা ঘরের সামনের ছোট জায়গায়। পেঁপে গাছে খরচ কম। কিন্তু ফলন বেশি। শুধু গুরুত্ব দিতে হবে কয়েকটি বিষয়ে।

মাটি তৈরি: পেঁপে চাষের জন্য বড় পাত্রর দরকার ছাদ বাগানে। অনেকটাই মাটি ধরবে যেখানে। বড় টব অথবা প্লাষ্টিকের বড় টবে মাটি ভরতে হবে নীচে ছোটো ফুটো করে। টবের নীচে কয়েকটা ফুটো রাখা খুব জরুরি, কারন পেঁপে গাছ জল সহ্য করতে পারে না তাই খেয়াল রাখতে হবে টবে যেন কখনও জল থৈ থৈ না করে সেদিকেও।

চারা রোপণ: সাধারণ রোপণ করা হয় দেড় থেকে দুই মাস বয়সের পেঁপে চারা। দুটি করে গাছ লাগাতে হবে এক একটি বড় ঢবে। কারন যদি পুরুষ গাছ হয় তাহলে ফল হবে না। আর ফল হলেও কম হবে। তাই বাসাতে হবে দুটি গাছই। বড় হয়ে গাছে ফুল আসলে বোঝা যাবে কোনটি পুরুষ আর কোনটি স্ত্রী গাছ। আর যদি দুটোই স্ত্রী গাছ হয় তাহলে রেখে দিতে পারেন না কেটে।

সার ব্যবস্থাপনা: পেঁপে গাছে সার খুব কম প্রয়োজন। তাই চারা বসাতে হয় গাছ বসানের আগে মাটিতে অল্প করে সুফলা,১০/২৬/২৬ ও অল্প জৈব সার দেওয়ার দুই তিন দিন পর। এরপরে গাছ বসানোর ১৫-২০ দিন পর একসঙ্গে দিতে হবে অল্প ইউরিয়া,টিএসপি সার,জিংক সালফেট। এরপরে গাছে নতুন পাতা আসলে প্রতি ১ মাস পর পর প্রয়োগ করতে হয় ৫০ গ্রাম করে সুফলা ও এমওপি সার। এই মাত্রা দ্বিগুণ করা হয় গাছে ফুল আসলে।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: প্রয়োজন মতো জল দিতে হবে চারা রোপণ এবং সার প্রয়োগের পর। খরা মৌসুমে ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর হালকা সেচ দিতে হবে।

রোগ ব্যবস্থাপনা: পেঁপেতে সাধারণ দেখা যায় ছত্রাক রোগ। তাই বর্সার মৌসুমে ঢলে পড়া রোগের প্রকোপ খুব বেশি। এ রোগের জীবাণু ছড়ায় বৃষ্টির জলে অথবা সেচের জলে। সেজন্য গাছের গোড়ার দরকার জল নিকাশের ভাল ব্যবস্থা রাখা। আক্রমন বেশি হলে ৭ দিন পর পর গাছের গোড়ার চারিদিকের মাটিতে প্রয়োগ করা দরকার রিডোমিল এমজেড-৭২ প্রতি লিটার জলে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে নিয়ে। জিংকের ঘাটতির জন্য মোজাইক লক্ষণ দেখা দিলে গাছের গোড়ায় গাছ প্রতি ৫-১০ গ্রাম জিংক প্রয়োগ করলে এবং ০.২% জিংক গাছের পাতায় স্প্রে করলে এ সমস্যা কমে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *