অবশেষে স্বস্তি গরু পাচার মামলায়! আব্দুল লতিফ ‘রক্ষাকবচ’ পেলেন সুপ্রিম কোর্টে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের ‘রক্ষা কবচ’ পেলেন গরু পাচার এবং রাজু ঝা হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ আব্দুল লতিফ। সোমবার এই মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীনেশ মাহেস্বরীর বেঞ্চে। সেখানে আব্দুল লতিফের আইনজীবী বলেন, তদন্তে সিবিআই কে সহযোগিতা করা সত্ত্বেও বারবার ডাকা হচ্ছে তাঁর মক্কেলকে। উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল গরু পাচার মামলার শুনানি রয়েছে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে।
সেই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত আবদুল লতিফকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। তবে সর্বোচ্চ আদালত আরও জানিয়ে দিয়েছে, তারমধ্যে সিবিআই ডাকলে হাজিরা দিতে হবে আবদুল লতিফকে। যদিও তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। আগামী সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। চলতি মাসেই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুন হন শক্তিগড়ে শুট আউটের ঘটনায়। অভিযোগ ওঠে , সেই রাজু ঝায়ের গাড়িতেই নাকি গরু পাচার কাণ্ডের এই অভিযুক্ত আব্দুল লতিফকে দেখা গিয়েছিল ।
এও দাবি করা হচ্ছে, সেই সময় আব্দুল লতিফের গাড়িতে চড়ে আসছিলেন আব্দুল লতিফ, রাজু ঝা, আব্দুল লতিফের চালক ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায় । শক্তিগড়ে লতিফের গাড়িতে সওয়ার রাজুকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে অন্য একটি নীল গাড়ি করে এসে। তাতেই মৃত্যু হয় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের। ভাইরাল ভিডিওয় ধরা পড়ে আব্দুল লতিফের ছবিও।
এরপরই প্রশ্ন ওঠে, যিনি পলাতক তিনি রাজু ঝা সঙ্গে কী করছিলেন? ইডি সূত্রে খবর, ২৯ মার্চ ইডির দিল্লিতে সদর দফতরে তলব করা হয়েছিল লতিফকে। সেইসময় কেমোথেরাপি চলছে বলে জানিয়ে হাজিরা এড়ান গরুপাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। দিল্লিতে ইডি দফতরে না গেলেও, তলবের দু’দিন পরে, আবদুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-কে খুনের সময়। প্রশ্ন উঠছে এখানেই যে , সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার, ইডি-র তলবে গরহাজির থাকার পরেও, কীভাবে গরুপাচারের কিংপিন প্রকাশ্যে ঘুরছিলেন? নেপথ্যে কি তাহলে রয়েছে কোনো প্রভাবশালী যোগ? প্রশ্ন ওঠে এমনকি তা নিয়েও ।