অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! মাত্র ৫০ টাকা, আর হ্যাঁ এই দামেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ
নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঙালির ইলিশ প্রেম নিয়ে বহু গল্প রয়েছে, যা কিনা গল্প হলেও সত্যি। ইলিশের নাম শুনলে মুখ থেকে এক দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে না এমন বাঙালির দেখা মেলা ভার। তবে মহার্ঘ এই রুপোলি শস্যের দাম অনেক সময়েই নাগালের বাইরে থাকায় রসনা তৃপ্ত করার ব্যাপারটাও অধরাই থেকে যায়। কিন্তু যদি শোনেন মাত্র ৫০ টাকায় আপনার বাজারের থলেতে উঠে আসতে পারে মাছের রাজা ইলিশ? হ্যাঁ একদম ঠিক শুনছেন।
ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় গঙ্গায় ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ ইলিশ। জোগান বাড়লে পন্যের দাম কমে ,এই সহজ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমেছে মাছের রাজার। ২৫০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫০ টাকায়। ভাবা যায়! যদি ১ কেজির ইলিশ বাজারের ব্যাগজাত করতে চান, গুনতে হবে ২০০ টি টাকা। খুব বেশি ৫০০-৬০০ টাকা খসলেই খাবার পাতে ইলিশের পাগল করা গন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই এত সস্তায় ইলিশের লোভ সামলাতে পারেনি ক্রেতারা। তাই বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ভীড়। তবে অনেকেই জানালেন ২৫০ গ্রামের ইলিশে নাকি সেই ব্যাপারটা নেই।
এদিকে মৎস দপ্তর একেবারেই নাখুশ এই ব্যাপারে। তাঁদের দাবি, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ইলিশ মাছের প্রজননের সময়। তাই এই সময় বাংলাদেশে ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে থাকে নিষেধাজ্ঞা। এপার বাংলাও সেই নিষেধাজ্ঞার আওতাতেই পড়ে। খোকা ইলিশ ধরার ক্ষেত্রে রয়েছে বিশেষ বিধিনিষেধ। তার পরেও কীভাবে এত বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা হচ্ছে এবং কীভাবেই বা লাগামহীন ভাবে সেই ইলিশ বিকোচ্ছে খোলা বাজারে, প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। ছোট মাপের ইলিশ যদি এভাবে দেদার বিক্রি হয়, পরবর্তীকালে বড় মাপের মাছের জোগান যে বিস্তর কমবে তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার কোনও প্রয়োজন আছে কি না সেটা বলতে পারবেন না কেউই।