আইএএম কলকাতা নতুন নজির গড়েছে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাক্ষেত্রে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দুনিয়া ক্রমশ বদলাচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে প্রতিযোগিতার আসর তৈরি হচ্ছে। এহেন বিশ্বে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্দিষ্ট দক্ষতারও প্রয়োজন । যা তাকে অতিরিক্ত সুবিধা দেবে বাস্তব জগতে চাকরির বাজারে। প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে স্নাতক পাশ করার পরে এক জন শিক্ষার্থী চাকরিক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে তার পড়াশুনার ভিত্তিতে । তবে যাই হোক না কেন, হসপিটালিটি ক্ষেত্রের মতো প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিস্তৃত অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন সফল পেশাদার হিসেবে টিকে থাকার জন্য ।
আইএএম, হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা জগতে শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম পথিকৃৎ হয়ে উঠেছে বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। এই প্রতিষ্ঠানটি মুষ্টিমেয় কিছু প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি যা দৃঢ়ভাবে ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে তুলছে বাস্তব জগতের জন্য। পরিসংখ্যান বলছে, আইএএম শিক্ষার্থীদের যে ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে, তাতে পাঠ্যক্রম শেষে শুধুমাত্র কর্মসংস্থানই নয়, তার সঙ্গে সাহায্য করে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শিক্ষার্থীদের টিকে থাকতেও। সেই শুরুর সময় থেকেই, আইএএম মনোযোগ দিয়ে আসছে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের দিকে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাস যে তাদের এই শিক্ষাপদ্ধতির মাধ্যমে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা নৈতিকভাবে সঠিক এবং দক্ষ পেশাদার হিসেবে গড়ে উঠবে। বলা বাহুল্য, আইএএম প্রথম ভারতীয় প্রতিষ্ঠান, যারা অনুমোদন পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরের ডিগ্রি প্রোগ্রাম প্রদানেরও।
এই প্রতিষ্ঠানটির যে পাঠ্যক্রম রয়েছে, তা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালগুলি দ্বারা। যে পাঠ্যক্রমের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে তোলা বিশ্বব্যাপী হসপিটালিটি ক্ষেত্রের জন্য । আইএএম-এর প্রতিষ্ঠাতা, ডিরেক্টর মৈত্রেয়ী চৌধুরি জানাচ্ছেন, “প্রথাগত তাত্ত্বিক শিক্ষার পরিবর্তে বাস্তব ক্ষেত্রে শিক্ষার সর্বোত্তম প্রয়োগ এবং বিশ্লেষণ ভিত্তিক শিক্ষাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েই পথ চলছে আইএএম। এখানকার ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার পাঠ্যক্রম কখনই রাখা হয় না একই রকম । বরং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী, শিল্পের পরিবর্তনশীল গতি প্রকৃতির উপরে নির্ভর করে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করা হয় নতুন নতুন বিষয়।”
আইএএম-এ পাঠ্যক্রমের এই ভিন্নধর্মীতাই এই প্রতিষ্ঠানটিকে আলাদা করে দিয়েছে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলির থেকে। শুধুমাত্র পাঠ্যক্রমই নয়, এখানকার দক্ষ অনুষদদের প্রতিটি সেশন, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি ও বাস্তব জগতে শিক্ষার ব্যবহারিক পদ্ধতি আরও ভাল ভাবে শিখতে সাহায্য করে। ফলে শিক্ষার্থীরা সক্ষম হয় গতে বাঁধা শিক্ষাপদ্ধতিকে অন্ধ অনুসরণ করার পরিবর্তে বিশ্লেষণাত্মক ও কৌশলগত চিন্তা করতে । পাশাপাশি, এখানে নিয়মিত পড়াতে আসেন ইন্ডাস্ট্রির দিকপাল ব্যক্তিত্বরা। যাঁদের মাধ্যমে হাতে-কলমে কাজ শিখতে পারে শিক্ষার্থীরাও ।