আজ ধর্মঘটের ডাক রাজ্যের নির্দেশিকা অমান্য করেই , কর্মচারী সংগঠনের চিঠি অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বকেয়া ডিএ-সহ একাধিক দাবিদাওয়া আদায়ে আজ শুক্রবার রাজ্য সরকারের সব দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। যা রুখতে গোড়া থেকেই নবান্নও ছিল মরিয়া। তবে নবান্নের কড়া নির্দেশিকা উড়িয়েই আজ ধর্মঘটে সামিল সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ। রাজ্যের এই নির্দেশিকার পাল্টা চিঠি দিয়েছে কর্মচারী সংগঠনও। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে চিঠি পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী যৌথ কমিটির সদস্যদের। ধর্মঘটে অনড় থাকার কথা জানিয়ে চিঠি এই সংগঠনের।

উল্লেখ্য এর আগে রাজ্য প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের কাজে যোগ দিতেই হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সকলকে সঠিক সময়ে যেতে হবে। অন্যান্য দফতরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। যথার্থ কারণ ছাড়া কেউ কাজে অনুপস্থিত থাকলে এক দিনের বেতন কাটা যাবে। ছেদ পড়বে কর্মজীবনের একটি দিন।

সরকারের এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে শহিদ মিনারে অনশনরত আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের একাধিক সদস্যের দাবি, স্পষ্ট হচ্ছে যে সরকার ভয় পেয়েছে। তাই এই চোখ রাঙানি। ধর্মঘট করা কর্মচারীদের আইন স্বীকৃত অধিকার, সেটা সরকার বোধহয় ভুলে গিয়েছে। নির্দেশিকা জারি করে ভয় দেখিয়ে ধর্মঘট ঠেকানো যাবে না। শুক্রবারই সরকার তা টের পাবে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে সোচ্চার সরকারি কর্মীদের বেশিরভাগ সংগঠন। দাবি আদায়ে যৌথ মঞ্চ গড়ে চলছে অনশন আন্দোলন। তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে ঘোষণা করেন যে, আর্থিক সংকটে রাজ্য সরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়।

রাজ্যে পালাবদলের পরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার ধর্মঘট আন্দোলনের বিরোধী। ২০১১ সালের পর রাজ্যে কেউ ধর্মঘট ডাকলেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে নবান্ন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *