আত্মহত্যা বেলুন ফোলানোর হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করে , যুবকের দেহ উদ্ধার হল সল্টলেকে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ :পাশে হিলিয়াম গ্যাসের সিলিন্ডার পড়ে আছে । শুয়ে থাকা এক যুবকের মুখে ঢুকে গেছে সিলিন্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত পাইপ। তাঁর মুখ আবার ঢাকা প্লাস্টিক দিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগর নর্থ থানার লাবণী এস্টেটে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এমনকি হাসপাতালেও। পরীক্ষার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা। মৃত যুবকের নাম পি সামরিথ (৩২) আদতে তিনি তেলেঙ্গানার বাসিন্দা।এখানে থাকছিলেন পেয়িং গেস্ট হিসেবেই। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে পি সামরিথ হিলিয়াম গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন । ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে সোমবার ১৯ জুলাই তাঁর দেহ উদ্ধারের পর।

বিধাননগর পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, তিনি যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন আত্মহত্যা করার জন্য সেই ধরনের পদ্ধতি এই রাজ্যে খুব একটা দেখা যায় না সাধারণত। এইভাবে আত্মহত্যা করার নজির আছে একমাত্র দক্ষিণ ভারতেই ।ওই আধিকারিক এও বলেন, মুখের মধ্যে হিলিয়াম গ্যাসের পাইপ ঢুকিয়ে দেওয়ার পর যাতে ভেতরের গ্যাস বাইরে এবং বাইরের গ্যাস কোনওভাবেই ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য মুখ প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকার পর তিনি সেটি সেলোটেপ দিয়ে আটকে দিয়েছিলেন।

চিকিত্‍সক তরুণ মণ্ডল বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য বেলুন ফোলাতে ব্যবহার আছে হিলিয়াম গ্যাসের । যেটাকে আমরা গ্যাস বেলুন বলি। কিন্তু আদতে একটি বিষাক্ত গ্যাস এটি। যতটা গ্যাস শরীরে ঢুকবে শরীর বঞ্চিত হবে ঠিক ততটা অক্সিজেন থেকে। বিশেষ করে যদি কোনও ট্যাঙ্ক বা কনটেইনার থেকে এটা শরীরে ঢোকে তবে যে গতিতে এটা ঢুকবে রক্তে বুদবুদ তৈরি হবে তার থেকে। যেটা বড়সড় ক্ষতি করে দেবে মস্তিষ্ক, ফুসফুস বা হৃদপিণ্ডে। এমনকী ফুসফুস ফেটে পর্যন্ত যেতে পারে। ফলে মৃত্যু ঘটে খুব দ্রুত।’

এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরিরত সামরিথ ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। তাঁর এক পরিজন মারা যাওয়ার পরেই তিনি আরও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সুইসাইড নোটেও তিনি তাঁর অবসাদের কথা উল্লেখ করেছেন বলেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *