আদিবাসী নেতা আত্মঘাতী হল থানায় ‘হেনস্থা’র শিকার হয়ে , ক্লোজ পুলিশকর্মী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হেনস্থার অভিযোগ উঠলো মীমাংসার নামে আদিবাসী সমাজের নেতাকে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে । এর জেরে আদিবাসী সমাজের মানুষেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানা ঘেরাও করে। ভারত জাকাত মাঝি পারাগনা মহলের নেতৃত্বে এদিন আদিবাসীরা প্রথাগত অস্ত্র হাতে মিছিল করে গঙ্গাজলঘাটি থানা ঘেরাও করেন । ঘটনার জেরে গঙ্গাজলঘাটি থানা চত্বরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাস্তা তৈরির ব্যাপারে একটি স্থানীয় সমস্যায় মীমাংসার জন্য গঙ্গাজলঘাটি থানায় ডেকে পাঠানো হয় স্থানীয় কুইলাপাহাড়ি গ্রামের মাঝি বাবা শিবারতি মুর্মুকে। অভিযোগ, মীমাংসার নামে মাঝি বাবাকে থানায় ডেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে চূড়ান্ত হেনস্থা করেন চন্দন মুখোপাধ্যায় নামের এক পুলিশ অফিসার। এদিকে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের অভিযোগ পুলিশের সেই হেনস্থার শিকার হয়ে শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন মাঝি বাবা শিবারতী মুর্মু। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার চন্দন মুখোপাধ্যায়ের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে আদিবাসী মানুষেরা গঙ্গাজলঘাটি থানার দেশুড়িয়া মোড়ে জমায়েত করেন।
আদিবাসীরা মাঝি বাবার মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দেশুড়িয়া মোড়ে তাঁরা বেশ কিছু ক্ষণ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে আদিবাসীরা প্রথাগত অস্ত্র হাতে মিছিল করে গঙ্গাজলঘাটি থানায় গিয়ে মূল গেট ঘেরাও করে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে এদিন থানা চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত শিবারতী মুর্মুর মৃত্যুর পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে । পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে বাঁকুড়া পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে হেনস্থার অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে।